
মোঃ মারুফ হোসেন, শেরপুর শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি
গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের রাংটিয়া কৃষকদের সুবিধার্থে বিগত ২০১৬ সালে ইরি-বোরো ফসল আবাদের জন্য জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় রাবার ড্যাম। এ রাবার ড্যামকে ঘিরে সমবায় অধিদপ্তর থেকে ‘মহারশী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামে একটি সমিতি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। বিগত সালের কমিটির বিভিন্ন অনিয়মের কারণে কৃষকরা সুবিধা পায়নি। সম্প্রতি ঝিনাইগাতীতে বন্যাজনিত কারণে মহারশি নদীর কুশাইকুড়ায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এবার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল ইরি-বোরে আবাদ। এদিকে সমবায় অধিদপ্তর থেকে মো. ফজলুল করিমকে সভাপতিসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। সমিতিতে তহবিলে অর্থ না থাকলেও বর্তমান কমিটি নিজস্ব তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা ব্যয় করে ওই বাঁধটি নির্মাণ করে। ফলে এবার ওই এলাকার ৬ শ একর জমি ইরি-বোরো আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে আরও ৩টি পানির হাউজ নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কৃষকদের আরো অনেক সুবিধা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি মো. ফজলুল করিম জানান, আমরা দায়িত্ব নিয়ে কৃষকের কথা চিন্তা করে সমিতির তহবিলে অর্থ না থাকার পরও নিজস্ব অর্থায়নে ২ লাখ টাকা ব্যয় করে একটি বাঁধ নির্মাণ করেছি। ‘ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি কে বলেন, রাবার ড্যামটি ৩ হাজার একর জমিতে পানি দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ওই সময়ে স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার একর জমি বোরো ফসলের আওতায় আনা যাবে।’