বাড়িআন্তজার্তিকগিনেস রেকর্ডের পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পার্থ

গিনেস রেকর্ডের পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পার্থ

‘দ্য লংগেস্ট চেইন অব সেফটিপিন’ তৈরি করে গিনেস বুকে স্থান করে নেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পার্থ আবারও গিনেস রেকর্ডের পথে । তবে তার এবারের বিষয় স্টেপলার পিন দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম চেইন তৈরি করা ।

২০২০ সালের ৩০ মে স্টেপলার পিন দিয়ে চেইন তৈরির আবেদন করেন পার্থ ।  একই বছরের ৭ জুলাই আবেদন গ্রহণ করে চেইন তৈরির অনুমতি দেয় গিনেস কর্তৃপক্ষ। অনুমতি পাওয়ার পর গত বছরের ২০ জুলাই থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ পর্যন্ত টানা ২০৭ দিন স্টেপলার পিন দিয়ে চেইন তৈরির কাজ করেছেন পার্থ। এই চেইনের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৭৫৪ দশমিক ৯ মিটার বা ৫ হাজার ৭৫৩ ফুট ৫ ইঞ্চি । শুক্রবার স্থানীয় শ্রী শ্রী পাগল সংকর জিও মন্দিরে এ চেইনের জরিপ কাজ করা হয়। প্রমাণ হিসেবে সংগ্রহ করতে হয়েছে ভিডিও এবং ছবি । এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বিপ্লব এবং ফান্দাউক পণ্ডিত রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পল্লব হালদার । চেইনটি পরিমাপ করার জন্য সার্ভেয়ার হিসেবে ছিলেন মো. তোফাজ্জল হোসেন মাজহার । চেইন জরিপ কাজ শেষে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে যাবতীয় তথ্য গিনেস ওয়ার্ল্ডে পাঠানো হবে। গিনেস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ এটি যাচাই-বাছাই করবে । ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউকের প্রয়াত জগদীশ দেবের ছোট ছেলে পার্থ চন্দ্র দেব । তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ফান্দাউক বাজারে বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বড়ভাইকে সহযোগিতা করেন ।  দ্বিতীয়বার বিশ্বরেকর্ড করার বিষয়ে জানতে চাইলে পার্থ বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ঘেঁটে দেখেছি। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভারতের মিনহাজুল মণ্ডল ৮০ হাজার স্টেপলার পিন দিয়ে সবচেয়ে দীর্ঘতম চেইন তৈরির রেকর্ড গড়েছিলেন। তাদের চেইনটির দৈর্ঘ্য ছিল ৬৬১.৬৬ মিটার । তাই দোকানের ছোট ছোট .৫ ইঞ্চি স্টেপলার পিন দিয়ে সবচেয়ে বড় চেইন তৈরির পরিকল্পনা করি ।

নিজের অনুভূতির বিষয়ে পার্থ দেব বলেন, আমি আমার দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছি । প্রথমবার রেকর্ড করার পর সমাজের সব মানুষের কাছ থেকে অনেক উৎসাহ পেয়েছি; যা আমাকে আবারও গিনেস রেকর্ড গড়তে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments