প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২, ২০২৫, ৫:০৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২৮, ২০২৫, ৯:৫৩ এ.এম
গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে স্নানোৎসব ও দিনের বারুণী শুরু; দেশ-বিদেশের মতুয়া ভক্তদের ভিড় বাড়ছে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ ইকবাল মিয়া।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় ওড়াকান্দি শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারো ঠাকুরের বাড়িতে মতুয়াদের ২ দিনের স্নানোৎসব ও ৩ দিনের বারুণী মেলা শুরু হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টার দিকে শুরু হওয়া এ স্নানোৎসব শেষ হবে আজ ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায়।।
স্নানোৎসবে যোগ দিতে এরই মধ্যে দেশের ও দেশের বাইরে থেকে শ্রীধাম ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে ছুটে এসেছেন হাজার হাজার মতুয়া ভক্ত। স্নানোৎসবকে ঘিরে ঠাকুরবাড়ি ঘেঁষে বসেছে বারুণী মেলা।
স্নানোৎসব ও মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুব্রত ঠাকুর জানান, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ফাল্গুন মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে প্রতি বছর ওড়াকান্দিতে এ স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবার শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১৪ তম আবির্ভাব উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্নানোৎসবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক লাখ মতুয়া ভক্ত যোগ দিয়েছে।
মতুয়া ভক্ত ও অনুসারীরা দূর-দূরান্ত থেকে এসে ঠাকুর বাড়িতে সমবেত হয়েছেন। কেউ কেউ ঠাকুর বাড়িতে বিছানা পেতে স্নানে অংশ নিয়েছেন।
স্নান উৎসবকে ঘিরে ঠাকুর বাড়ির পাশ ঘেঁষে ৬০ একর জায়গাজুড়ে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় কাঠ, বাঁশ, বেত, মাটির তৈরি জিনিসপত্র ও খেলনা সামগ্রী, তালপাখা, চানাচুর, মিষ্টি দোকান, হোটেল-রেস্তোরার দোকান এসেছে।
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ঠাকুরবাড়িতে আসা ভক্তদের জন্য রাতযাপন, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার, দিক-নির্দেশনা সাইনবোর্ড, প্রস্রাব-পায়খানা ও স্নান করে মহিলাদের কাপড় পাল্টানোসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কয়েক লাখ বেশি মানুষের আগমন ঘটতে পারে। বিশ্বের প্রায় ১০টি দেশ থেকে মতুয়া ভক্তরা এ উৎসবে যোগ দিবেন।
স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঠাকুর বাড়ি এলাকায় বসানো হয়েছে সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ চৌকি ও সিসি ক্যামেরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল ও মতুয়া সংঘের দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন।
কপিরাইট@২০২৩ দৈনিক প্রথম বাংলা। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত