বাড়িবরিশাল বিভাগপটুয়াখালী জেলাচাঁদা তুলে এক কিলোমিটার কাচা রাস্তা সংস্কার।

চাঁদা তুলে এক কিলোমিটার কাচা রাস্তা সংস্কার।

আনোয়ার হোসাইন(হৃদয়), বিশেষ প্রতিনিধি রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রায় এক হাজার মিটার কাঁচা সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের সামুদফাৎ গ্রামের ডাক্তার থেকে ইটের রাস্তার মাথায় প্যাদাবাড়ি পর্যন্ত সড়কটির সংস্কারকাজ এখন প্রায় শেষের দিকে।
গত সোমবার (১ জুলাই) থেকে মাটি ও বালু ভরাট করে সড়কটি মেরামত শুরু করেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে এ কাজে প্রায় অর্ধলাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় এবং বর্ষা মৌসুমে মাহিন্দ্রা গাড়ি (ভারি যান) ও পাওয়ার টিলার চলাচল করায় রাস্তাটি মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের কাছে গিয়ে কোনো কাজ হয়নি। অবশেষ স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ সড়কের মাঝ থেকে মাটি কেটে পাশে তুলছেন।
আবার কেউ ওই মাটি ঝুড়িতে করে সড়কের পাশে ফেলছেন। আবার কোথাও ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলছেন। যারা এসব কাজে এগিয়ে এসেছেন তারা সবাই স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছেন ।
কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন সড়কটির সরকারিভাবে কোনো সংস্কারকাজ করা হয়নি।
অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে। ফলে চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। তাই নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণকারী বেল্লাল প্যাদা ও রিয়াজ ডাক্তার জানান, এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কেউ কোনো উদ্যোগ নেননি। তাই নিজেরাই উদ্যোগটা নিয়েছি। গ্রামের সবাই সাধ্যমতো চাঁদা দিচ্ছেন। সেই টাকা দিয়ে কাজ শুরু করা হচ্ছে। এ ছাড়া সবাই শ্রম দিয়ে সংস্কারকাজে অংশ নিয়েছেন। তবে বর্ষার সময় রাস্তাটি রক্ষার জন্য ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান গাজী বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমাকে রাস্তার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। তখন আমি তাকে বলেছি, এই মুহূর্তে আমার কাছে কোনো বরাদ্দ নেই। আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করে ওখানে রাস্তার জন্য একটি বরাদ্দ করাব।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অজিত কুমার দেবনাথ বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার কিংবা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোনো প্রস্তাব আসেনি, ফলে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। তবে প্রস্তাবনা এলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে যে কাজটি করেছে তা খুবই ভালো কাজ। এ ক্ষেত্রে যদি আরো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা দেখব। পাশাপাশি সড়কটি টেকসই করার জন্য আমরা খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments