
আবু সালেহ মোঃ হামিদুল্লাহ, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ নিজস্ব প্রতিনিধি।
গত (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার ঘোষণা আসার পর পরই কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার “বৈষম্য বিরোধী” ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থী ও সমন্বয়করা কটিয়াদী সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে সমবেত হয়। এসময় তারা “আল্লাহ আকবর” বলে কেক কেটে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করে।
সমন্বয়করা বলেন, তাদের আজ এই আনন্দের দিনে (জুলাই-আগস্টে) আহত ও শহীদ হওয়া সেইসব ভাই-বোনদের কথা খুব মনে পড়ছে। যাদের আন্দোলনের ফল আজ দেশবাসী ভোগ করতে চলেছে। সমন্বয়করা বলেন, আমরা যখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই কলেজের সামনে আন্দোলন করতে অবস্থান করতাম ঠিক তখনই পুলিশ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল। আমাদের নির্মমভাবে অত্যাচার, নিপীড়ন করে আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ ও প্রতিহত করার চেষ্টা করত। তবু আমরা পিছপা না হয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে এই সংগ্রাম ও আন্দোলন চালিয়ে গেছি। ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাব্বি বলেন, বাংলাদেশ থেকে একটি তথাকথিত প্রগতিশীল নামক ছাত্র সংগঠন “ছাত্রলীগ”কে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এতে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। সমন্বয়ক রাব্বি আরো বলেন, আমরা ২০২৪ এ যেমন স্বৈরাচার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছিলাম ভবিষ্যতেও আমরা একটি সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করছি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যেন এরকম আর কোনো ফ্যাসিস্ট, স্বৈরশাসক ক্ষমতায় না আসতে পারে সেদিকে আমাদের ছাত্র-জনতাকে সোচ্চার থাকতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের একটাই দাবি (জুলাই – আগস্টে) যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা আহত এবং শহীদ হয়েছেন সেসব সন্ত্রাসী ও হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে বাংলার মাটিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পরিশেষে তারা (জুলাই – আগস্ট) এ ছাত্র আন্দোলনের সকল আহত ও শহীদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে।