
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস শুকুর ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি পত্রে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা খুনের ঘটনায় জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নীরব থাকার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নাছির উদ্দিন। তিনি নিজেই পদত্যাগের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জামিউল হত্যাকাণ্ডে জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নীরব ভূমিকা পালন করছে। এতে তিনি দুঃখ পেয়েছেন। এ কারণে তিনি আর স্বপদে থাকতে চান না।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীমের খুনের ঘটনার সঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তাঁর ভাইদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। জামিউল আলীমের মা বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। এ অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগ শনিবার রাতে জরুরি সভা করে। সভায় আসাদুজ্জামানকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য পদ ও অন্য সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আসাদুজ্জামান আসাদকে পাঠানো বহিষ্কার আদেশে বলা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর আসাদুজ্জামান সন্ত্রাসী ভাইদের নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক জামিউল আলীম ও তাঁর বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এর কারণে জামিউল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন। উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত দলীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যের মতো দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ করেছেন আসাদুজ্জামান, যা আওয়ামী লীগের দলীয় গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ বিরোধী এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজ করায় ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে আসাদুজ্জামানকে নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সব শাখার প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।