
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধি- বাপন দত্ত
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পতিত জমিতে এবার বার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। যা দেখে এলাকার কৃষকরা সরিষা আবাদে উৎসাহিত হচ্ছেন। যে সব জমিতে বছরের পর বছর অনাবাদি পতিত হয়ে পড়ে থাকতো। এবার এসব জমি আবাদের আওতায় এসেছে। যে দিকে চোখ যায় , শুধু সবুজ হলুদের সমারোহ। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার পরিত্যক্ত পতিত জমি আবাদে স্থানীয় শিক্ষিত ও বেকার উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা সহ উৎসাহ প্রদান করেন। এতে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের লহরি গ্রামের হাবিবুর রহমান ও তার বাই আলামিন সহ স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগে এবার প্রায় ৩০ হেক্টর পতিত জমিতে বারি সরিষা আবাদ করা হয়। এতে প্রায় ৫০০ মন সরিষা উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসব পতিত জমি আবাদ করতে পানি সংকটে পরতে হয় কৃষকদের। পযাপ্ত সেচ ব্যবস্থা হলে স্থানীয় লহরি, গড়গড়ি, মিরপুর সহ আশপাশের অন্যান্য গ্রামের কৃষকরাও সরিষা আবাদে এগিয়ে আসবেন। এতে দিনে দিনে বাড়বে আবাদি জমির পরিমাণ। তাদের সাথে উপজেলার সকল পতিত জমিতে সরিষা আবাদ হলে ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে রপ্তানি করে আর্থিক লাভবান হতে পারবেন কৃষকরা।
১৪ জানুয়ারি শনিবার জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত মোহাম্মদ ওসমান মজুমদার বলেন,অনেক পতিত জমি এবার আবাদের আওতায় এসেছে। এতে গ্রামীন বেকার যুবক ও কৃষকদের বিকল্প কর্মসংস্থান হয়েছ। পতিত জমিতে উৎপাদিত সরিষা স্থানীয় ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটবে। তাই অন্যান্য পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে আমরা স্থানীয় বেকার যুবক ও উদ্যোক্তাদের সহ কৃষকদের উৎসাহিত করছি। আগামিতে পতিত জমি আবাদের পরিমাণ বাড়বে।