
জন বারকি | বারকিপুর গল্পটা এমন!
জন বারকির তৈরি নৌকোটি তখন জলেস্থলে এক নামে পরিচিত। এ যেন জলের ঘোড়া! যত চলছিল, তত বাড়ছিল পরিচিতি। জন বারকি জনারণ্য এড়িয়ে চলা স্বভাবের মানুষ। অচেনা থাকতে পছন্দ করেন। এই স্বভাবে প্রাপ্তিও আছে। ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া লোকমারফত আর জানতে হয় না। নিজে নিজেই জানছিলেন, দেখছিলেন। মানুষ বাহবা দেয় এই বলে, ‘ব্রিটিশ রে বাবা’!
দেশহারা হয়েও জন বারকির মনে স্বস্তি। স্বস্তির জলজীবন! নৌকো তৈরির বেশি বায়না থাকলে রাত জেগে কাজ করতেন। পরদিন আবার নৌকো বাইতেন। একাই একশ! তবু পাশে কিছু লোক চাই, বিশ্বাসী লোক। নদীতীরের লোক হলে ভালো। খোঁজে খোঁজে একটি গাঙ দিয়ে নৌকো বেয়ে যান জন বারকি।…
কে জানত! পরের শতবর্ষে ভয়াল ভূমিকম্পে সেই গাঙ বিলুপ্ত হবে! জন বারকির সেই জলপথ কি আন্দুগাঙ?
যে জলপথ মাড়িয়ে একখণ্ড স্বাধীন রাজ্য। যেখানে একাই কিছুকাল নির্জনে নিমজ্জিত হতে চাইছিলেন বারকি!
সেই জনহীন বসতি কি এই বারকিপুর? ব্রিটিশ ভূমি জরিপে তো মৌজার নাম বারকিপুর! এরপরও জন বারকির কোনো গল্প বা কাহিনি নেই! কেন, কী ছিল ঘটনা?
কল্পিত চিত্র : নওশীন আজিজ