নীলফামারির জলঢাকায় ফসলি জমিতে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষক- কৃষাণির মুখে আনন্দের সোনালী হাসি ফুটে উঠেছে। জনমনে আনন্দ -উল্লাস বিরাজ করছে। তিস্তা অববাহিকার প্যানেলের পার্শ্ববর্তী জমিতে পাকা ও আধা পাকা ধান মৃদূ বাতাসের আলিঙ্গনে দুলছে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর ধানের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ১৪ ই নভেম্বর সকালে সরজমিনে দেখা যায়, জেলার জলঢাকা উপজেলার ছোট- বড় নদীর পাশে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটা শ্রমিকদের সাথে জমির মালিকরাও আনন্দ-উল্লাসে ধান কাটছেন। এ সময় কৃষক ধনঞ্জয়, বীরেন ,কাঞ্চন ও আলী সহ একাধিক কৃষক দৈনিক প্রথম বাংলা পত্রিকাকে বলেন, মাঠ ভরা সোনার ফসল আমন ধানের মৌ মৌ সু-গন্ধে পেটের ক্ষুধা দুরে-বহুদুরে। এবার এমন সুন্দর ফসল কাটতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। ধানের ফলন খুবই ভাল হয়েছে। ৪/৫ দিনের মধ্যে সবকটি গ্রামের পুরুধমে ধান কাটা যাবে।গত এক সপ্তাহ ধরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। বর্তমানে ধান কাটা, মাড়াই করা,শুকানো ও গোলায় তোলা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক – কৃষাণীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা "দৈনিক প্রথম বাংলা" পত্রিকাকে বলেন, এবার উপজেলায় মোট ১৯ হাজার ৩ শত ২২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ হয়েছে। আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারি লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে। জমিতে অধিক ফসল দেখে কৃষক – কৃষাণীর মূখে সোনালী হাসি ফুটে উঠেছে। সর্বত্র আনন্দ উল্লাস বইছে।