
মোঃ লাল মিয়া (জাহিদ), জলঢাকা (নীলফামানী) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশে নতুন আরেক ব্যাধির নাম নাম হলো অনলাইন জুয়া। নীলফামারীর জলঢাকায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মোড়ের দোকান গুলোতে অন-লাইন জুয়ার আড্ডা বসছে।
এক ধরনের কৌতূহল থেকেই বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম ধাবিত হচ্ছে অনলাইন জুয়ার দিকে। মোবাইলে অবাধে খেলতে পাড়ায় সাচ্ছন্দেই খেলছে এসব অনলাইন জুয়া।
পাঁচশ-হাজার টাকা হাজার টাকা বিনিয়োগ করে অল্প পরিশ্রমে বেশি টাকা লাভের আশায় স্বপ্নে বিভোর হয়ে লোভে পড়ে একপর্যায়ে খোয়াচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অনেকেই হারাচ্ছেন সর্বস্ব।
জুয়ার এসব সাইটের অধিকাংশ পরিচালনা করা হচ্ছে ভারত,রাশিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে। বাহিরের বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালিত এসব সাইট পরিচালনা করছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এজেন্ট এর মাধ্যমে ।
এসব বেটিং ওয়েবসাইটে বিনিয়োগ এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বাহিরে।
এসব জুয়ায় লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাংলাদেশি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)। সবচেয়ে অবাক করা বিষয়- রাশিয়া থেকে পরিচালিত একাধিক জুয়ার সাইটে বাংলাদেশিদের লেনদেনের জন্য মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় যুক্ত। এছাড়া রয়েছে ব্যাংকের মাধ্যমেও পেমেন্ট করার সুযোগ। ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় এসব সাইটে ।
বিভিন্ন প্রকার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আকৃষ্ট করা হচ্ছে নিজেদের বেটিং সাইটের প্রতি।
এসব বেটিং ওয়েবসাইট অধিকাংশ ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে হচ্ছে বাংলায়। ফলে তরুণ প্রজন্ম অনেকটাই ঝুকছে এসব জুয়ার দিকে। অনলাইন ক্যাসিনোর অ্যাপ ইনস্টলের জন্যও দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অফার। এমনকি এসব সাইটের বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশ বিভিন্ন সেলিব্রিটি ও মডেলকেদেরও দেখা যাচ্ছে প্রমোট করতে ।
এসব জুয়ায় সর্বস্ব হারানোর ফলে ঘটছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধপ্রবণতা। বিভিন্ন পরিবারের ভিতরে বাধছে সাংসারিক কলহ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান,জুয়া খেলে যতটা লাভ-লোকসানের মধ্যে সাধারণ জুয়ারিরা পড়ছে কিন্তু বাস্তবেই লাভবান হচ্ছে এসব জুয়ার এজেন্টরা। কারন তারা শতকরা একটা অংশ লাভ করছে এসব জুয়ারিদের কাছ থেকে।
তাই প্রশাসনের কাছে টার্গেট করে এসব জুয়ার এজেন্টদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার অনুরোধ সচেতন মহলের।