
জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে বিষবৃক্ষ তামাক চাষ।কমে যাচ্ছে কৃষি জম। নীলফামারীর পুরো জেলা জোড়ে ছড়িয়ে আছে বিষবৃক্ষ তামাক চাষ। বিভিন্ন তামাক কোম্পানির প্রলোভনে এই বিষ পালাচ্ছেন স্থানীয় চাষীরা। তাই জীবন ঘাঁটি এই তামাক চাষ বন্ধে দাবী সচেতন মহলের। পরিবেশ বাদীরা বলছেন তামাক চাষ বন্ধ হলে নীড় উৎসাহিত শিক্ষার্থীরা আবারো ফিরবে স্কুল-কলেজে।
জানা গেছে, নীলফামারীর সদর উপজেলাসহ,জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে হচ্ছে বিষবৃক্ষ তামাক চাষ। গত বছরেও যেসব আবাদি জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, আলুসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হয়েছিল, এখন সেসব জমিতে বিষবৃক্ষ তামাক চাষ করছেন কৃষকরা।
তামাক চাষী আলতাব হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে তামাক চাষাবাদ করে দাম বেশি পাই। এজন্য তামাক চাষাবাদ করি। তামাক ক্ষতি কর এটা ঠিক আছে। কিন্তু ধান, গম, ভুট্টার চেয়ে অনেক লাভ হয় এজন্য আমরা তার তামাক চাষাবাদ করি। লাভবান হোক বা না হোক এগুলো আমাদের করতে হবে আমরা এখন যাব কোথায়।
অন্যদিকে তামাক কোম্পানিগুলো বীজ সারসহবিভিন্ন সুবিধা দেওয়ায় লোভে পড়েছেন কৃষকরা। এ কারণেই মাটির উর্বরতা হারাচ্ছে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তামাক চাষের ক্ষতিকর দিক জানা থাকলেও অধিক মুনাফার আশা আর কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে তামাক তথা এ বিষ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন তারা।পার্শ্ববর্তী কামাল বলেন, তামাক চাষাবাদ করে কৃষি জমির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ধূমপান যেতু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ঠিক তেমনি তামাক স্বাশ্ব ক্ষতিকর।
কৃষক মোতালেব বলেন, তামাক চাষ বন্ধ করে যদি আলু গম ভুট্টা চাষাবাদ করা যায়। তাহলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবে কোমলমতি শিশুরা। তামাক চাষ যদি কম হয় আর যদি সবজি চাষ বৃদ্ধি হয় তাহলে এখানকার মানুষ সবজিসহ বিভিন্ন ফল ফলাদি সহজলভ্য হবে সাধারণ মানুষের জন্য।
এই তামাকের বিষ কেবল দীর্ঘ মেয়াদে উর্বরতা হারাচ্ছে ফসলি ক্ষেত। শুধু ফসলের ক্ষেত নয় তামাক প্রক্রিয়াজাত করার জন্য যে সকল পদক্ষেপ নেয়া হয় তাতেও রয়েছে ঝুঁকি হচ্ছে পরিবেশ দূষণ । ফলে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থা
নীয়রা।