
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জামাতার পর দগ্ধ শ্বশুর মোসলেহ উদ্দিনও মারা গেছেন। দগ্ধ হওয়ার ৫ দিন পর রোববার দুপুরে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে ৩ অক্টোবর রাতে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় অবস্থিত কলোনিতে মোসলেহ উদ্দিনের ফ্ল্যাটে এসে তার জামাতা হানিফ পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজের শরীরে তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই সময় জামাতাকে বাঁচাতে গিয়ে মোসলেহ উদ্দিন দগ্ধ হয়। তখন জামাই শ্বশুর দুজনকেই ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরপর দিন জামাতা হানিফের মৃত্যু হয়।
নিহত হানিফ (৪৫) মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার ৩নং ওয়ার্ডের কাজির পাগলা এলাকার জয়নাল শেখের ছেলে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, পঞ্চবটি কলোনির মোসলেহ উদ্দিনের মেয়ে তানিয়া আক্তারকে ১৪ বছর পূর্বে বিয়ে করেন হানিফ। তাদের সংসারে ৭ বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান আছে। বিয়ের পর হানিফ ইতালি চলে গিয়েছিলেন। কয়েক বছর পরপর তিনি দেশে আসতেন। এবারও দেড় বছর পূর্বে হানিফ ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু তার স্ত্রীর সঙ্গে দেড় বছরেও একবার সরাসরি সাক্ষাত হয়নি। শ্বশুরবাড়িতে আসলেই স্ত্রীকে দেখতে পেতেন না হানিফ। এক পর্যায়ে তার শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হানিফ আশপাশের লোকজনদের জানান।
এরপর শ্বশুরবাড়িতে একটি রুমে নিজের শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তার পুরো শরীর দগ্ধ হয়। এ সময় আগুন থেকে বাঁচাতে জামাতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন মোসলেহ উদ্দিন। এতে তিনিও দগ্ধ হয়। তখন আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।