মোঃ ফোরকান, বাউফল (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্র ও তাদের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বিএনপি'র কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য তোফাজ্জেল হোসেন তপু।
এসময় সময় তিনি বলেন, ভোট বাড়ানোর জন্য জামায়াত নেতারা বাউফলের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের জামায়াতের সদস্য হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন। তাদের পক্ষ অবলম্বন করে তাদের দিয়ে বিএনপি নিধনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদশ জামায়াতে ইসলামী বাউফল শাখার নেতাদের প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দিয়ে বিএনপি'র ঘরে আগুন জ্বালানোর দু:সাহস কি ভাবে পেলেন। বাংলাদশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ছোট দল না। আপনারা আগুন জ্বালিয়ে দিলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা চুড়ি পরে বসে থাকবেনা।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদুন্নবী, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মুনিমুল ইসলাম মিরাজ ও বাউফল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক আপেল মাহমুদ মুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য: গত শুক্রবার পবিত্র জুম্মায় মাওলানা মনিরুজ্জামান অজিবুল্লাহ বাংলাদশ জামায়াতে ইসলামী একটি ইসলামিক দল এবং তার গুরুত্ব নিয়ে নারায়নপাশা জামে মসজিদে আলোচনা করেন। ওই সময় কনকদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রাসেল তাকে আলোচনা করতে বাঁধা দেন। বিষয়টি মসজিদে সমাপ্তি ঘটলেও একই বিষয় নিয়ে শনিবার ( ১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মিরাজ ও রাসেলের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল আমিরাবাদ বাজার জামায়াতের সদস্য অজিবুল্লাহ (৩৫), মো. নাঈম আবদুল্লাহ (৩০) ও আল-আমিন (২৮) কে একসাথে পেয়ে তাদের ওপর হামলা করে এবং দফায় দফায় পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।
জামায়াতের কর্মীদের ওপর বিএনপি'র হামলার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা জামায়াতে ইসলাম এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেন।