বাড়িঅন্যান্যজৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে ভারতীয় চেরাচালান পণ্য।

জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে ভারতীয় চেরাচালান পণ্য।

নাইম আহমদ ,জৈন্তাপুর(সিলেট)নিজস্ব প্রতিনিধি
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে ভারতীয় চোরাচালান পন্য। চোরাচালাণ পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মদ, ভারতীয় সুপারী, চিনি, শাড়ী, লেহেঙ্গা, ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের ঔষধ সামগ্রী, মোবাইল হ্যান্ডসেট, প্রসাধনী সামগ্রী, মটর সাইকেল ও ভারতীয় গরু-মহিষ। একটি চক্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নাম ভাঙ্গীয়ে আদায় করছে মোটা অংকের চাঁদা। বিনিময়ে প্রবেশ করছে চোরাচালান পণ্য।
সরজমিন ঘুরে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকার ব্যাক্তির সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা জানান, জৈন্তাপুর উপজেলা সীমান্তের ১২৭৮ খাঁসি হাওড়, শান্তিমাইর জুম, ১২৭৯ মোকামপুঞ্জি, ১২৮০ শ্রীপুর, ১২৮১ ছাগল খাউরী, ১৮৮২ মিনাটিলা, ১২৮৩ রাবার বাগান, লম্বাটিলা, ১২৮৪ কেন্দ্রী হাওড়, ডিবির হাওড়, ১২৮৫ ডিবির হাওড় ফরিদের বাড়ী এলাকা, ১২৮৬ রিভার পিলার (ডিবির হাওড় আসামপাড়া), ১২৮৬ ঘিলাতৈল, ১২৮৭ তলাল, ফুলবাড়ী, ১২৮৮-১২৮৯ টিপরাখলা, ১২৯০ করিমটিলা, কমলাবাড়ী, ১২৯১-১২৯২ ভিতরগোল, ১২৯৩-১২৯৪-১২৯৫ গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, ১২৯৬ হর্নি এলাকা দিয়ে প্রবেশ করছে ভারতীয় চোরাচালাণ পণ্য বিভিন্ন ধরনের মদ, সুপারী, চিনি, শাড়ী, লেহেঙ্গা, বিভিন্ন ব্যান্ডের ঔষধ সামগ্রী, মোবাইল হ্যান্ডসেট, প্রশাধনী সামগ্রী, মটর সাইকেল ও ভারতীয় গরু-মহিষ। এসকল পন্য হতে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে চোরাকারবারীদের নিকট হতে লাইন ম্যানেজের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঢাকার বাসিন্ধা সামদ ও আরমানের বিশ্বস্থ সহচর বিজিবির সোর্স বা লাইনম্যান নামে পরিচিত আব্দুল করিম ওরফে বেন্ডিজ করিম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মির্জান আহমদ রুবেল, ইউপি সদস্য মো. মনসুর আহমদ, মাসুম আহমদ সুজন, মো. জাকারিয়া। 
উল্লেখ্য বিগত কয়েক মাসে জৈন্তাপুরে উপজেলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে পুলিশ ও সোনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল সংখ্যাক মাদক আটক করা হয়। 
বিগত দিন হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই চক্রের সদস্যরা উপজেলা সীমান্ত পথের চোরাচালান নিয়ন্ত্রন করছেন। তারা সময়ের সাথে সাথে রূপের পরিবর্তন ঘটিয়ে তাদের চোরাচালান বানিজ্য নিয়ন্ত্রন করেন। উপজেলা জুড়ে তাদের চোরাচালান ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করার জন্য গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে ডেবিটকার্ড হিসাবে প্রয়োগ করতে এই চক্রের সদস্যরা তাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
৫ আগষ্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর সরকার পরিবর্তন হলে চক্রের সদস্যদের আর ডেবিট কার্ডের প্রয়োজন হয়নি। তারা আধিপত্যা বিস্তার করে সীমান্তের চোরাচালান ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টায় ১২৮০-১২৮১ পিলারের মধ্যবর্তী বানানঘাট এলাকায় মহিষের চালান নিয়ে আসার প্রক্কালে পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চোরাকারবারীদের হামলায় ৪জন পাথর শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। 
এলাকার সচেতন মহল জানান, সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান ব্যবসার কারনে উপজেলা জুড়ে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে উঠতি বয়সী যুব সমাজ মারাত্বক হারে মাদকের ছোবলে পড়ে তরুন প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ বলেন, জৈন্তাপুর এলাকা দিয়ে যে ভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে মাদক সহ বিভিন্ন পন্য প্রবেশ করছে তাতে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে দাবিত হচ্ছে। যুব সমাজকে রক্ষায় চোরাচালান বন্দ না করা গেলে ভয়ঙ্কও রূপ ধারন করবে জৈন্তাপুর। সেই সাথে চোরাচালানের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। 
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, জৈন্তাপুরে যোগদানের পর হতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক সহ চোরাচালান পণ্য আটক করা হয়। বর্তমানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments