
মো: লাল মিয়া (জাহিদ), নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় অদ্য ০৯/২/২০২৪ ইং শুক্রবার সরজমিনে প্রাইভেট ডাক্তাদের চেম্বার গুলোতে ঘুরে জানা যায় যে সকল ডাক্তার বিগত কিছুদিন আগেও প্রতিদিন রোগী দেখতেন ৪০/৭০ জন তাদের রোগী সংখ্যা ব্যাপক হারে কমতে শুরু করেছে।
ডাক্তাদের অনেকেই এখন বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে গল্পগুজব করে বা ফেইজবুক চালিয়ে সময় কাটান। সবগুলো চেম্বার ঘুরে দেখা গেছে কিছু কিছু প্রেসক্রিপশনে হয়েতুক প্রোডাক্ট ও কিছু নিম্নমানের প্রোডাক্ট লিখে কোম্পানির গিফট এবং অনারিয়ামের প্রতি ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ডাক্তারা।
রোগী বা রোগীর সাথে আসা লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় অতিরিক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াও অতিরিক্ত ঔষধ প্রেসক্রিপশন-ই এর মূল কারণ।
জলঢাকা উপজেলার অলিতে গলিতে ও গ্রামের ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক ডায়গনোষ্টিক সেন্টার। সে সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিবন্ধন আছে কিনা আমাদের রিপোর্টে তা সন্ধিহান।
এই সকল ডায়গনোষ্টিক সেন্টার গুলোর প্রতিনিধিরাই এখন প্রাইভেট ডাক্তাদের চেম্বারে রোগীর চেয়েও বেশি দেখা যায়। এটাও রোগীদের অসন্তুষ্টির অন্যতম কারণ। ডায়গনোষ্টিক সেন্টার গুলোও চলছে সরকারি বিধিনিষেধ নিয়ম কানুন তোয়াক্কা না করে-ই। ভোক্ত ভোগীরা অনেকেই ডায়গনোষ্টিক সেন্টার গুলোর বৈধতা যাচাই বাছাই করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এমতাবস্থায় চাপ বাড়ছে জলঢাকা সরকারি হাসপাতালে।