প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ৪:০৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৫, ৫:৪৩ পি.এম
ডিমলায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কার্যক্রম চলছে পুলিশ প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিনিধি, নীলফামারী:
নীলফামারীর ডিমলা থানার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে জনগনের সেবার কাজ চালাছে ডিমলা থানার পুলিশ প্রশাসনের। ভবনটি বয়সের ভারে এখন বিপদের আসংকা করছে থানার অফিসার ও সাধারন পুলিশ সদস্য সহ সেবা নিতে আসা সাধারন জনগন।
দ্বিতল বিশিষ্ট ভবনটির দেয়ালের অনেক জায়গায় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। বয়সের ভারে দেয়াল ও ছাঁদ ধঁসে পড়ে অনেক জায়গায়। জরাজীর্ণ ছাদ, দেয়াল আর ক্ষয়ে যাওয়া পিলারের ভবনটিতে চলছে থানার দৈনন্দিন কার্যক্রম। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন থানার পুলিশ অফিসার ও সাধারণ পুলিশ সদস্যরা । এছাড়া একইভাবে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের সেবা নিতে আসছেন সাধারণ জনগণ । অপরদিকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর আবাসিক ভবনটি ও থানার কর্মরত অফিসারদের স্বপরিবারে থাকার আবাসিক দ্বিতলা ভবনটিও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বসবাসের অযোগ্য ও ঝুকিপূর্ণ ভবন হওয়ায় পুলিশ অফিসাররা থানার বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবার পরিজন সহ থাকছেন। এর ফলে থানার স্বাভাবিক কাজ কর্মের বিঘ্নিত হচ্ছে এবং আইনগত সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ ও ভুক্তভোগীরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সূত্র জানায়, গত ৪ দশক পূর্বে বিগত ১৯৮৩ ইং সালে ডিমলা থানার দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। বয়সের ভারে ভবনটির কার্যক্ষমতা অনেক আগেই হারিয়ে ফেললেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে অদ্যবধি নতুন ভবন নির্মাণের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি ।নিরুপায় হয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতেই ডিমলা থানার পুলিশ প্রশাসনের সকল প্রকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন থানা পুলিশ কর্তৃপক্ষ ।
দীর্ঘদিন যাবত দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাঁটলের সৃষ্টি সহ দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়া নিত্যদিনের ঘটনা। বর্ষার সময় ছাদ দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ার ঘটনা তো আছেই। যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে বা বিধস্ত হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রহিয়াছে। ফলে প্রান হানি সহ পঙ্গুত্ব বরণের আশঙ্কা করছেন থানার কর্মরত পুলিশ অফিসার ও সাধারণ পুলিশ সদস্যগণ সহ সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
থানার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিদিনই আশঙ্কা নিয়ে কাজ করছি। কখন যে দেয়াল ধসে পড়ে, বলা মুশকিল। আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু এখনোও নতুন ভবন নির্মাণের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
থানায় সেবা নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, “পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে এসেছিলাম, কিন্তু ভেতরে ঢুকেই ভয় পেয়ে গেছি। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মানুষ কীভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে, ভাবতেই অবাক লাগে!
এ বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে এলাহী বলেন, ডিমলা থানার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে অবগত করেছি। আশা করছি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ে নতুন ভবন তৈরীর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিনি আরো জানান,অস্ত্রাগার ও থানার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষণ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সর্বোপরি দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে ।
ডিমলা বাসীর দাবী যত দ্রুত সম্ভব থানার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ । নইলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলে সাব জানিয়েছেন তারা।
কপিরাইট@২০২৩ দৈনিক প্রথম বাংলা। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত