বাড়িরংপুর বিভাগনীলফামারী জেলাডিমলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুষ  বাণিজ্যের অভিযোগ 

ডিমলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুষ  বাণিজ্যের অভিযোগ 

মোঃ মফিদুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধি নীলফামারী: 
ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (টিসিএফ)মোঃ রুহুল মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা ও আওয়ামীপন্থীদের পুনর্বাসনসহ প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে,খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৪২ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়। ডিলার নিয়োগের সময় অধিকাংশ ডিলার আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ পদবীর নেতা ও আওয়ামীপন্থীদের ডিলার নিয়োগ করা হয় । গত ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনে স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে আওয়ামীলীগের পদ পদবীতে থাকা অনেক ডিলার গাঁ ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ঝুকিতে পড়ে  খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি । এই সুযোগটি কাজে লাগায়  ডিমলা উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক (টিসিএফ) রুহুল মোসাদ্দেক । গুঞ্জন ওঠে আওয়ামী পন্থী অধিকাংশ ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করা হবে। ইতিমধ্যে হাসানুর রহমান শাহ নামের একজন ডিলারের মৃত্যু ঘটে এবং ৪ জন ডিলার উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটির নেতৃত্ব পদে থাকায় গ্রেফতারের ভয়ে গাঁ ঢাকা  দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, খাদ্য বান্ধবের ডিলার নিয়োগের সময় ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ঘুষ-বানিজ্য করে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি । বর্তমানেও তিনি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে থাকা ও আওয়ামীপন্থী ডিলারদের পুনর্বাসন করার জন্য প্রতিজন ডিলারের কাছ থেকে   ৪ থেকে ৫ হাজার করে টাকা ঘুষ বাবদ আদায় করেছেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোসাদ্দেকের ঘুষ বাণিজ্য ও অপকর্মের বিষয়ে উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ   গত ১৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে। তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতিবাজ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলার মুখপাত্র রাশেদুজ্জামান রাশেদ,  যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল প্রধান,অভিযোগ করে বলেন, ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোসাদ্দেক ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ফ্যাঁসিবাদ আওমীলীগ সরকারের নেতাদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে তিনি ডিমলা উপজেলার পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এজেন্ডা হিসেবে কাজ করছেন। ঝু্নাগাছ চাপানী ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধবের ডিলার আব্দুস সালাম,মনিরুজ্জামান মানিক, কনেশ্বর রায় ও শফিউদ্দিন মানিক সহ অনেকে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোসাদ্দেক বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার, তিঁনি রংপুরে আছেন,সেখান থেকে ফিরুক তাঁর সাথে কথা বলে আমার বক্তব্য  জানাবো । তবে আমাকে একটি মহল ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাসেল মিয়া বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সৈয়দ আতিকুল হকের সাথে এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।  
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments