বাড়িঅন্যান্যডেসটিনির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার এমডি রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে...

ডেসটিনির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার এমডি রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রায় বৃহস্পতিবার

গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনি ভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ৪৬জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করবেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ২৭ মার্চ রায়ের এই তারিখ ঘোষণা করা হয়।
রফিকুল আমীন ছাড়াও মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, রফিকুল আমীনের স্ত্রী ফারাহ দিবা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক সাঈদ-উর-রহমান, মেজবাহ উদ্দিন, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ, জামশেদ আরা চৌধুরী, শেখ তৈয়েবুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন, শিরিন আক্তার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মজিবুর রহমান, সুমন আলী খান, সাইদুল ইসলাম খান, আবুল কালাম আজাদ এবং ডায়মন্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের নিকট হতে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয় রাজধানীর কলাবাগান থানায়। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
২বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে একটি (ট্রি প্ল্যান্টেশন) মামলায় রফিকুলসহ ১৯জন এবং অপর মামলায় ৪৬জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রফিকুলসহ ১২জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩। ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন মামলায় এখনো সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির (ডিএমসিএসএল) মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য ২০০৯ সালের জুলাই হতে ২০১২ সালের জুন মাস পর্যন্ত সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এ সময় ঋণ প্রদান, অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ, নতুন প্রতিষ্ঠান খোলার নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ হতে ১হাজার ৯০১কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। সেই অর্থ হতে আসামিরা লভ্যাংশ, সম্মানী ও বেতন-ভাতার নামে ১হাজার ৮৬১কোটি টাকারও বেশি অর্থ সরিয়ে নেন।

এই মামলায় ২০২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments