
মতিউর রহমান শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি
ধামরাই ঢাকা :বিভিন্ন মিডিয়া জেলা ভিত্তিক রাসেলস ভাইপারের বসবাসের তথ্য দিলেও সেখানে ঢাকা জেলার নাম নেই। কিন্তু ঢাকার ধামরাই উপজেলায় এর আতঙ্ক বিরাজ করছে। ১৯৯৯সালে বিলুপ্ত প্রজাতি ২০১৩সালে হঠাৎ করে আবার বাংলাদেশ দেখা মিলে। ধারণা করা হয় ভারত থেকে পদ্মা নদী হয়ে রাজশাহী পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলে এই রাসেলস ভাইপার দেখা যায়। পৃথিবীতে দ্বিতীয় বিষধর সাপ হিসেবে খ্যাত এই রাসেলস ভাইপার।এর ধারালো দাঁত সেকেন্ডেই বিষ প্রয়োগ করতে পারে। বছরে প্রায় সর্বনিম্ন ২০ টি সর্বোচ্চ ৭০ টি বাচ্চা দিতে পারে। এই সাপ ইঁদুর ও ছোট ব্যাঙ শিকার করে। তাই জলাশয় নিচু জমি বাড়ির উঠান রান্নাঘর এসব জায়গায় বসবাস করে। সাম্প্রতি পদ্মার তীরবর্তী অঞ্চল, চরাঞ্চল, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় রাসেলস ভাইপারের এর আক্রমণ দেখা গেছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে সকলেই আমরা সাপটি ছড়িয়ে পড়ার খবর পেয়েছি। এই সাপে দংশন করলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, অথবা জেলা সদর হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া বাঁচার কোন উপায় নেই, এই সাপে দংশন করলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে ৬০%,এটা চিকিৎসা করার পর। এর বিষক্রিয়া এত বেশি যে, কিডনি নষ্ট হয়ে যায় এবং হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। ধামরাইয়ের খুব কাছেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় এই রাসেলস ভাইপারের দেখা মিললে সেখানে জনতা সাপটিকে মেরে ফেসবুকে পোস্ট করে। ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের জলসা গ্রামেও একটি সাপ মেরে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। উপরের তথ্যগুলোর সত্যতা মিললেও ধামরাইয়ের দেপাশাই গ্রামে কবরস্থানের পাশ থেকে একটি রাসেলস ভাইপার মারা হয়, ফেসবুকে পোস্ট করা হয় কিন্তু এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। পদ্মা হতেই একের অধিক উপনদী ধামরাইয়ের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে, তাই ধামরাই বাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই সাপটি অজগরের মত দেখতে গ্রামের মানুষ একে চন্দ্র বুড়া নামে চেনে।বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাপ ভারত, নেপাল, চীন থাইল্যান্ডে ও দেখা যায়। দ্রুতগতির এই সাপ ডিম ছাড়া সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে বিধায় এদের মৃত্যুর হার কম এজন্য বংশ বিস্তার বেশি। বর্ষাকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি হলেও পরে আস্তে আস্তে কমে যাবে। বাড়ির উঠান পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ঘরে কার্বলিক এসিড রাখতে হবে। বাড়ির চারপাশে পরিষ্কার করে ব্লিসিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে।