অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
তীব্র তাপপ্রবাহ চলমানের মধ্যে আজ রবিবার সারাদেশে স্কুল খুলছে। উচ্চ বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্লাস শরু হবে। অভিভাবকরা তাদের সন্তান কে স্কুলে পাঠিয়ে ভয়ের মধ্যে আছেন।
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহে ঘরের মধ্যে থাকাই কষ্ট। এ অবস্হায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানকে পাঠিয়ে মা বাবা নিরাপদ মনে করছেন না।
সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো ২১ এপ্রিল খোলা থাকার কথা ছিল। কিন্তু সরকার কোমন মতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এক সপ্তাহ ছুটি বাড়িয় দেয়। আজ রবিবার ২৮ এপ্রিল সারা দেশে স্কুল খুলছে। দেশের তাপ প্রবাহের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। এখনো ঝুঁকির মধ্যে স্কুলে যাবে শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার সকালে তাপমাত্রা কম ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, আজ বন্ধের পর প্রথম স্কুল খোলা থাকায় তাপপ্রবাহের কারনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের ছাতা, খাবার পানি, বাড়ি থেকে টিফিন আনার কথা বলেছেন। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের সিঙ্গারা, পুড়ি সহ হোটেলের ভাজি পুড়া জাতীয় খাবার না খাবার পরামর্শ দিয়েছেন।
সহকারী প্রধান শিক্ষক সুকুমার চন্দ্র কর জানান, স্কুল খোলা প্রয়োজন। তবে স্কুলের সময় আমার মতে কমানো উচিত। সকাল থেকে ১২ টা পর্যন্ত স্কুল চললে ভালো হয়।
শিক্ষক জাকির হোসাইন জানান, হিট অ্যালাটের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হলো। তাপমাত্রা তো এখনো কমেনি। তা হলে স্কুল খোলার যৌক্তিকতা আমি বুঝি না।
তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। দেশের বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেনী কক্ষে পর্ষাপ্ত পরিমানে ফ্যান নেই। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাসে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও বেশির এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎতের লোডশেডিং থাকছে। ফলে গরমে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সিনিয়র শিক্ষক সুজিত কুমার দাস জানান, তাপদাহের স্কুলের ক্লাস কমানো ও মনিং শিফটে ক্লাস করলে মনে হয় ভালো হয়।
অভিভাবক উৎপল রক্ষিত জানান, আমার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ও ছেলে দ্বিতীয় শ্রেনিতে পড়ে। প্রচন্ড গরমে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আমি ভয়ে থাকি। বিদুৎতের লোডশেডিং ঘন্টার পর ঘন্টা থাকায় ছাএ ছাএীদের গরমে দুর্ভোগ বেশি হয়। শিক্ষকদের সর্বদা সর্তক থাকতে হবে কোন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ পড়লে জরুরি ভিওিতে ব্যবস্হা গ্রহন করা ও অভিভাবকদের খবর দেবার অনুরোধ করছি।
সিনিয়র শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, আমি চাকরি করি। সরকারি সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে চলতে হবে। তবে আমরা শিক্ষকরা ও ভয়ে আছি। যদি কোন শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন স্হানে শিক্ষক সহ অনেকেই স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়ংকর দাবদাহ। সারাদেশের মানুষ তীব্র তাপদাহে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। অনেক মানুষ গরম সহ্য ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূএে জানা যায়,এপ্রিল মাসজুড়ে তাপ প্রবাহের তেমন কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
দেশের উপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপমাত্রা অব্যাহত রয়েছে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূএে জানা গেছে।
তাপ প্রবাহ পরিস্থিতি আজ রবিবার পর্যন্ত তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি ।
তাপদাহে সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। শারীরিক দুর্বলতা সহ কোন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।