প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৩, ২০২৫, ৭:১৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২, ২০২৫, ৯:৪৫ পি.এম
দীর্ঘ ১৬ বছর পর শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম হিসেবে পূণরায় নিয়োগ পাচ্ছেন মাওঃ সাইফুল্লাহ

আবু সালেহ মোঃ হামিদুল্লাহ , কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) নিজস্ব প্রতিনিধি।
কিশোরগঞ্জের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওঃ ফরিদ উদ্দীন মাসউদকে সরিয়ে আবারও মাওঃ একেএম সাইফুল্লাহকে পূণরায় নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটি।
রবিবার (২ মার্চ) শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে ( জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে) অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়া এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
মাওঃ সাইফুল্লাহ জানান, তিনি ২০০৪ সাল থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিগত সরকারের আমলে ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর তাকে হঠাৎ ইমামতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের চাপের মুখে মাওঃ সাইফুল্লাহকে পরিবর্তন করে তার স্থানে ইসলাহুল মুসলিমীন বাংলাদশের চেয়ারম্যান মাওঃ ফরিদ উদ্দীন মাসউদকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী সরকার। ইমাম মাওঃ সাইফুল্লাহ কে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ হিসেবে জানা যায়, তিনি জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ রাব্বানীর ছোট ভাই। এ কারণেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে ইমাম সাইফুল্লাহ কোনো রাজনীতির সঙ্গে কখনোই যুক্ত ছিলেন না। তাকে পুনর্বহালের জন্য সবসময় দাবি করে আসছিল সাধারণ মুসল্লি ও আপামর জনসাধারণ। তবে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলা প্রশাসক ও ঈদগাহ উদযাপন কমিটি পূণরায় তাকে তার স্থলাভিষিক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এতে কিশোরগঞ্জ জেলার জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
কপিরাইট@২০২৩ দৈনিক প্রথম বাংলা। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত