
মো:নাজমুল হোসেন জিয়ানগর (পিরোজপুর) নিজস্ব প্রতিনিধি:
দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে পিরোজপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১.৩০ টায় দুর্নীতিবাজ,অহংকারী, স্বেচ্ছাচারিতা,ষ্টাফদের সাথে দুর্ব্যবহার,মানসিক সমস্যাগ্রস্থ সহ বিভিন্ন অভিযোগে অত্র দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী কর্মচারীদের অভিযোগ,স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে অকারণে দুর্ব্যবহার করা, দাপ্তরিক কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করানো,বিভিন্ন সময় হয়রানিমূলক আচরণ,কর্মচারীদের ব্যক্তিগত কাজে হস্তক্ষেপ,বিভিন্ন অজুহাতে উৎকোচ দাবী,তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা,অফিস কর্ম সময়ের পরেও ফোনে নানারকম হয়রানি, পারিবারিক প্রভাব খাটানো সহ বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্য সহকারী জাহিদুল ইসলাম বলেন,আমরা সরকারী অফিসের নিয়োজিত কর্মচারী,আমরা সরকারের মানব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করি,নারী ও শিশুদের বিভিন্ন সেবাদান আমাদের উপর ন্যাস্থ রয়েছে,আমরা স্বাধীন মত কাজ করতে পারিনা, তিনি আমাদেরকে তার ইচ্ছামত ব্যবহার করেন,সরকারি চাকরি নীতিমালার প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা থেকে আমাদেরকে তিনি বঞ্চিত করে রেখেছেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনে কোন ছুটি ছাটা ভোগ করতে পারি না এমনকি আত্মীয়-স্বজন মারা গেলেও তিনি ছুটি দিতে চান না।
অত্র অফিসের ক্যাশিয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন,আমি এই অফিসে ক্যাশিয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করি, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে আমার উপর তাকেও ন্যস্ত হতে হয় কিন্তু আমি কোন কাজে তার কাছে গেলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে আমার সাথে চেয়ারের ক্ষমতা দেখান,অহেতুক ঘুরাঘুরি করতে থাকেন,আমাকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে তিনি বঞ্চিত করে রেখেছেন। অফিস থেকে বেতনের বিপরীতে ঋণের আবেদন করলে তিনি তাতে হস্তক্ষেপ করেন,নানা রকম নীতিবাক্য শুনান, ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করান আমরা কোন কাজে তার রুমে গেলে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখেন। অফিসটাকে তিনি তার পারিবারিক সম্পদ মনে করেন। অফিসে তিনি পারিবারিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন এরকম অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমাদের অফিসের কাজ করা সম্ভব নয়,আমরা এর একটা উপযুক্ত বিচার চাই ।
স্বাস্থ্য সহকারী আলামিন বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন একজন মানসিক সমস্যা গ্রস্ত মানুষ, মাঝে মাঝে তিনি পাগলের মতো আচরণ করেন, তিনি এর আগে শরণখোলা উপজেলা থেকে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে এখানে এসেছেন তার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল কোন কিছু হলেই তিনি কান্নাকাটি করে অপরাধ লুকানোর চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফরিদা ইয়াসমিন বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হতে হবে, উপযুক্ত প্রমাণ করতে পারলে আমি মাথা পেতে নেব।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মতিউর রহমান বলেন , আমি উভয় পক্ষের কথা,অভিযোগগুলো শুনেছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।