বাড়িবাংলাদেশেরংপুর বিভাগদৃষ্টিনন্দন বইয়ের অসাধারণ কারুকাজ দেখে মুগ্ধ, বিভিন্ন লোকালয় থেকে আসে দর্শনার্থীরা সেই...

দৃষ্টিনন্দন বইয়ের অসাধারণ কারুকাজ দেখে মুগ্ধ, বিভিন্ন লোকালয় থেকে আসে দর্শনার্থীরা সেই কলেজে।

রুমন হোসেন জিলহজ্ব, লালমনিরহাট জেলা বিশেষ প্রতিনিধি।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বই দিয়ে নির্মিত দইখাওয়া আদর্শ কলেজের মূল ফটক যেন একনজর দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসে হাজারো মানুষ। দৃষ্টিনন্দন বইয়ের অসাধারণ কারুকাজ দেখে মুগ্ধ, বিভিন্ন লোকালয় থেকে আসা দর্শনার্থীরা ।

দুই হাতের ওপর গোল বৃত্তে বিভিন্ন দেশের পতাকার মাঝে রয়েছে লাল সবুজের বাংলাদেশের পতাকা। আর সেই বৃত্তের ছাউনিকে ধরে আছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জনপ্রিয় কবি লেখকদের ৫০ টি বইয়ের কাঠামো দিয়ে তৈরি মূল ফটক।

লালমনিহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া আদর্শ কলেজ,যেন বই দিয়ে নির্মিত প্রধান ফটকে স্থান পেয়েছে উইলিয়াম সেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি, কাজী নজরুল ইসলামের অগ্নিবীণা, জর্জ বানার্ড শর ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান, বনফুলের গল্প সমগ্র, আল মাহমুদের সোনালী কাবিন, হুমায়ূন আহমেদের শঙ্খনীল কারাগার, আনিসুল হকের মা সহ বাংলা ও ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষার বই।

শুধু কলেজের মূল ফটকই সকলের নজর কাড়ছে না। কলেজটির ভিতরে প্রবেশ করলেই দেখা মিলবে দৃষ্টিনন্দন ও খুবই আকর্ষণীয় একটি শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটিতে আগলে ধরে রেখেছেন নানা বর্ণের বই ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প।

এছাড়াও সবুজে ঘেরা সারিসারি গাছ যেন প্রতিকুল পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। এছাড়া কলেজের আশেপাশে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা নিম্নবিত্ত পরিবারের হওয়ায় এই কলেজটিতে ১০ টাকায় দুপুরে মানসম্মত খাবারের জন্য চালু করা হয়েছে একটি ক্যান্টিন।

১৯৯৯ সালে হাতীবান্ধা দইখাওয়া আদর্শ কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের ফটক নির্মাণের চেষ্টা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলেজের প্রধান ফটক করতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন সেই টাকার বরাদ্দ বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটিতে ছিলো না।

অনেক প্রত্যাশার পর গত ২০২০ সালের মার্চ মাসে কলেজ কর্তৃপক্ষের চিন্তা ভাবনায় আসে ফটক নির্মাণের। কলেজের সৌন্দর্য বাড়াতে একটি দৃষ্টিনন্দন ফটো তৈরি করতে হবে।

পড়ে সারা দেশের ওই প্রতিষ্ঠানে থাকা প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষকরা।

সেখানেই চারুকলার শিক্ষার্থীর সহযোগিতা চায় কলেজের শিক্ষকরা। সেই মোতাবেক শিক্ষার্থীরা রাজি হয়ে ফটক নির্মাণের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তবে তাদের দিতে হবে নির্মাণ সামগ্রী।

কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোফাজ্জল হোসেন দৈনিক প্রথম বাংলা কে জানান কলেজের নিজস্ব ফান্ড থেকে কিছু টাকা বরাদ্দ নিয়ে আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলাম । সেই সাথে নির্মিত কলেজ গেটটি দৃষ্টিনন্দন কলেজটির যেমন পড়াশোনার মান তেমনি সৌন্দর্য যেন ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে ডাকছে ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments