বাড়িবরিশাল বিভাগবরগুনা জেলাদের বছরেও শেষ হয়নি সড়কের কাজ। শুরুতেই অর্ধেক টাকা উত্তোলন।

দের বছরেও শেষ হয়নি সড়কের কাজ। শুরুতেই অর্ধেক টাকা উত্তোলন।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
দের বছরেও শেষ হয়নি আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা কালভার্ট থেকে লোদা খাল গোড়া সড়কের কাজ। ঠিকাদার শাহীন খঁান কাজ ফেলে রেখে দিয়েছেন। এতে ভোগান্তিতে পরেছে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদার এলজিইডি অফিস ম্যানেজ করে ইতিমধ্যে অর্ধেক বিল টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।  দ্রুত এ কাজ নিমার্ণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা কালভার্ট থেকে লোদা খাল গোড়া পর্যন্ত তিন হাজার এক’শ ৬০ মিটার সড়ক। এ সড়ক নিমার্ণের দরপত্র আহবান করে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। ওই কাজে এক কোটি সাত ষট্টি লক্ষ চৌদ্দ হাজার ৬৮৯ টাকা বরাদ্দ করা হয়।  ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল ওই কাজের টেন্ডার হয়। মেসার্স রহমান ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই কাজ পায়। ২০২৩ সালের পয়েলা মে কাজ শুরু করার কথা। ওই বছর জুন মাসে সড়কের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। গত বছর ৩০ নভেম্বর ওই কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কাজ শুরু করে ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ম্যানেজ করে দুই কিস্তির টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান। কিন্তু কত টাকা নিয়েছেন তা জানেনা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিসুর রহমান। টাকা তুলে নেয়ার পর থেকে গত  দের বছরে ঠিকাদারের খবর নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদার শাহীন খঁান দরপত্র অনুসারে সড়কের প্রস্ত ও গভীরতা দেয়নি। কাজ ফেলে রেখে চলে গেছেন। গত দের বছর মাস ওই অবস্থায় সড়ক পড়ে আছে। কাজের মেয়াদ এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার সময় বৃদ্ধির আবেদন করেনি বলে আরো জানান প্রকৌশলী ইদ্রিসুর রহমান।  গত দের বছর ধরে সড়কের বেহলা অবস্থার কারনে মানুষ চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে।  এ সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচলের বেশ ভোগান্তি হচ্ছে।
স্থানীয় রচনা বেগম ও কামাল বলেন, ঠিকাদার সড়ক খুড়ে বালু ও খোয়া ফেলে রেখে চলে গেছেন। কিন্তু গত দের বছরে তার দেখা মিলেনি। এতে এলাকার মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
ঠিকাদার শাহীন খঁান সড়কের কাজ ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হবে।  আগামী দের মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করবো। 
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিসুর রহমান বলেন, কাজ না করেই ঠিকাদার ওই সড়কের দুই কিস্তিতে বরাদ্দ টাকার বেশ অংশ তুলে নিয়েছেন। আমার আগের ঠিকাদার তাকে কাজের বিল টাকা ছাড় দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, কাজের মেয়াদ শেষ হলেও ঠিকাদার সময়ের আবেদন করেননি। গত দের বছর ধরে এভাবে কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। কাজ শেষ না হলে তাকে অবশিষ্ট বিল টাকা ছাড় দেয়া হবে না। 
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments