বাড়িবাংলাদেশেসিলেট বিভাগধর্মপাশার গোলকপুর বাজারে ২১শতক সরকারি খাস জায়গার মধ্যে ১৫শতক অবৈধ দখলে, ব্যবসায়ীদের...

ধর্মপাশার গোলকপুর বাজারে ২১শতক সরকারি খাস জায়গার মধ্যে ১৫শতক অবৈধ দখলে, ব্যবসায়ীদের মধ্যো ক্ষোভ

রবি মিয়া । ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ)নিজস্ব প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের  গোলকপুর বাজারের পশ্চিমপাশে থাকা ২১শতক সরকারি খাস জায়গার মধ্যে ১৫শতক জায়গা স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি    অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন। উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ইউসুফ আলী এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

      উপজেলার গোলকপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনযনের   গোলকপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ২১শতক সরকারি খাস জায়গা রয়েছে। উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলী  এলাকায় খুবই প্রভাবশালী । তাঁর এক ছেলে পুলিশের এসআই পদে কর্মরত রয়েছেন। নিজ ছেলের  ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি বুধবার (৯এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তিনি তাঁর লোকজন নিয়ে সরকারি ২১শতক সরকারি খাস জায়গার মধ্যে ১৫শতক জায়গা অবৈধভাবে দখলে যান।পরদিন ১০এপ্রিল সকালে সেখানকার একটি অংশে মাটি ভরাট কাজ শুরু করেন। এ ছাড়া সরকারি খাস জায়গা দখল করা স্থানে বাঁশের খুঁটি পুতে গুরি তৈরি করা এবং অপর একটি অংশে বাঁশ ও সিমেন্টের তৈরি খুঁটি ফেলে রেখেছেন। 

           উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা ও গোলকপুর বাজারের ব্যবসায়ী  হেলাল চৌধুরী বলেন,  গোলকপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ২১শতক সরকারি খাস জায়গার মধ্যে ১৫শতক জায়গা আমাদের গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি ইউসুফ আলী তাঁর লোকজন নিয়ে অবৈধভাবে  দখল করে নিয়েছেন। তাঁর এক ছেলে পুলিশের  এসআই হওয়ায় এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি এই কাজটি করেছেন।  সরকারি এই খাস জায়গাটি দখলমুক্ত করার জন্য গোলকপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষে আমি মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনায় ইউএনও স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।

          অভিযুক্ত ইউসুফ আলী দাবি করেন, আমার বিরুদ্ধে সরকারি খাস জায়গা দখল করার যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি যে স্থানে মাটি ভরাট,বাঁশের খুঁটি পুতে গুরি তৈরি করেছি এবং বাঁশ ও পিলার ফেলে রেখেছি সেটি আমার রেকর্ডভূক্ত জায়গা। আমি  আমার এসআই ছেলের ক্ষমতার কোনো প্রভাব খাটাইনি। আমাকে ও আমার  পরিবারের লোকজনদেরকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এলাকার একটি মহল এ ধরণের  অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।  এই জায়গাটি সরকারি খাস জায়গা হলে অবশ্যই আমি তা ছেড়ে দেব।

      ধর্মপাশার ইউএনও জনি রায়  বলেন,  অভিযোগটি আমি  পেয়েছি। সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করার কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত করে এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments