
মোঃ আব্দুল আজিজ ,স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় অবৈধভাবে বেদখল হওয়া সরকারী (খাস) পুকুর প্রশাসনের দখলে নিয়ে ১ কোটি টাকারও উর্ধ্বে রাজস্ব আদায়ের অন্যতম রেকর্ড গড়লেন, নিয়ামতপুর উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৫৬৬ টি জলমহাল রয়েছে। নওগাঁ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল এর নির্দেশে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), নওগাঁর নির্দেশনায় উপজেলার জলমহলগুলোর সঠিক তত্ত্বাবধানে আনার লক্ষ্যে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পূর্বের বছরগুলোতে বিভিন্ন কারণে এসব পুকুর থেকে রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত ছিল সরকার। বর্তমানে এসব পুকুর উদ্ধার করা হয়েছে । প্রথমেই বকেয়া জলমহাল ইজারার অর্থ আদায়ের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়।
যে সকল জলমহালের বিপরীতে ইজারার আবেদন হয়নি, সে সকল জলমহাল খাস কালেকশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১৪৩১-৩৩ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারাকৃত জলমহল থেকে প্রায় ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৯০ টাকা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে।এছাড়াও ইজারার বাইরের জলমহাল থেকে প্রায় ২৫ লাখ ২৩ হাজার ১২০ টাকা খাস আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হয়।অর্থাৎ সর্বমোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ১কোটি ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ৯১০টাকা । গত ১৪২৯-৩১ বঙ্গাব্দে উপজেলা খাস পুকুর থেকে ইজারা খাত থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টাকা।এছাড়া ও ১৪৩০-৩২ বঙ্গাব্দের জন্য জলমহল ইজারা বাবদ রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৯০০ টাকা । যা গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে প্রায় দুইগুণের বেশি অর্থ আদায় করে রেকর্ড গড়লেন নিয়ামতপুর উপজেলার সুদক্ষ নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান।তিনি একজন সত ও ন্যায় নিষ্ঠাবান সুযোগ্য নির্বাহী অফিসার,যার জন্যই এই ধরনের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে । আর এই সকল রাজস্ব আদায় করার কাজের ব্যাপারে নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন,নিয়ামত পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) রেজাউল করিম । নানানভাবে জানা যায় যে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটিয়ে এসব পুকুর নিজেদের দখলে দখল করে রেখেছিল। যার কারনে সরকার তার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের সুদূরপ্রসারী উদ্যোগগ্রহণের ফলে পুকুরগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সঠিক নিয়মে ইজারা দিলে,ও সঠিক তদারকি অব্যাহত থাকলে প্রতি বছর প্রচুর রাজস্ব পাবে সরকার। নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, বেদখল হওয়া সরকারী পুকুর উদ্ধার হয়েছে। শ্রদ্ধেয় জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল এর নির্দেশে ইতিমধ্যে শতাধিক জল মহলে সরকারি মালিকানা সূচক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। অচিরেই সকল জলমহল সমূহে সরকারি মালিকানা সূচক এই সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে । জলমহল সমূহ সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার লক্ষ্যে কার্যক্রম সমূহ অব্যাহত থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান ।