বাড়িবাংলাদেশেময়মনসিংহ বিভাগনকলা শহরে একের পর এক দুর্ধর্ষ চুরি! চুর আতঙ্কে কর্মজীবীরা 

নকলা শহরে একের পর এক দুর্ধর্ষ চুরি! চুর আতঙ্কে কর্মজীবীরা 

হেলাল উদ্দিন বাবু, নকলা(শেরপুর)নিজস্ব প্রতিনিধি 
শেরপুরের নকলা উপজেলা শহরের বিভিন্ন মহল্লায় বসবাসকারী চাকরিজীবীসহ কর্মজীবী পরিবারের মাঝে চুর আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন মহল্লায় একের পর এক চুরের ঘটনা ঘটছে। ফলে চুর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সর্বমহলে।
এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২ টার মধ্যে নকলা পৌর শহরের গ্রীণরোড এলাকার বাসিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহফুজুর রহমান এর বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।
মরেজমিনে দেখা গেছে, বাসার গ্রীলের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং কক্ষের তালা ও আলমিরার তালা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ ছোট ছোট জরুরি মালামাল নিয়ে যায় চোরচক্র। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সকল কাগজপত্র ছিড়ে ও এলামেলো করে রেখে গেছে তারা।
মাহফুজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় তার বাসা থেকে নগদ ৮২ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকাসহ ছোট ছোট জরুরি মালামাল চুরি হয়েছে। চুরি হওয়া টাকার মধ্যে উপজেলার কয়েকজন শিক্ষকের জরুরি প্রয়োজনে অফিসিয়াল কাজের জন্য গচ্ছিত রাখা ছিলো। এছাড়া আলমিরা ও ক্যবিনেটের তালা ভেঙে তছনছ করেছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। এবিষয়ে নকলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। খবর পেয়ে নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বিভিন্ন তথ্য মতে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে গরু, ছাগল চুরিকরাসহ বৈদ্যুতিক মটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৃষি যন্ত্রপাতি চুরি হচ্ছে। তবে অস্বাভাকি হারে বেড়েছে দিনের বেলায় বাসায় চুরির ঘটনা। একের পর এক চুরির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বমহলে। চুরচক্রের টার্গেট চাকরিজীবীসহ কর্মজীবী পরিবারের উপর। বিশেষ করে যেসকল পরিবারের স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই কর্মজীবী তাদের বাসাবাড়ীতেই বেশি চুরির ঘটনা ঘটছে। এমতাবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছেন ভ‚ক্তভোগী পরিবারসহ সর্বসাধারণ।
প্রসাধনী ব্যবসায়ী আলম মিয়া জানান, তাদের মহল্লায় বসবাসকারী সব কয়টি পরিবার স্বনামধন্য এবং পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে সুপরিচিত। এই মহল্লায় বসবাসকারী ৯০ ভাগ পরিবারের লোকজন চাকরিজীবী, বাকী সব পরিবার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাই এই মহল্লাটি চুরচক্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ফলশ্রæতিতে এই মহল্লায় চুরের ঘটনা বেশি ঘটতেছে। স্থানীয় সবাই সচেতেন হলে এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরো তৎপর হলে চুরের ঘটনা কমতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নকলা থানার পুলিশ বিভিন্ন অপরাধ দমনে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছেন। আগের চেয়ে নকলা উপজেলায় অপরাধের মাত্রা ও পরিমাণ অনেক কমেছে বলে স্থানীয় অনেকে জানান।
দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলার চেয়ে নকলায় অধিক শান্তি বিরাজ করছে। এতেই প্রমান হয় যে, নকলার প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করেছেন। এমনটাই জানান অনেকে।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments