বাড়িবাংলাদেশেঢাকা বিভাগনির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগনের কাছে কেউ দায়বদ্ধ থাকে না : গয়েশ্বর রায় 

নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগনের কাছে কেউ দায়বদ্ধ থাকে না : গয়েশ্বর রায় 

অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী  গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের কাছে কেউ দায়বদ্ধ থাকে না। বর্তমান অন্তরবর্তীকালীন সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না। জনগণ জাহান্নামে যাক, চালের দাম কত বাড়লো, তাতে কিছু আসে যায় না। তেলের দাম বাড়লো কি-না তাতেও কিছু আসে যায় না। 
 নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রা পথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে। 
তিনি আরো  বলেন, বিএনপি  ১৭ বছর ধরে  আন্দোলন করছে  একটি নির্বাচনের।  এটা নতুন কোন দাবি না। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার বানানোর জন্য আন্দোলন করি নাই। আন্দোলন করেছিলাম জন প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করার।  জনগণের ভোটের অধিকার আদায় করার  । সে কাজটা আপনারা করেন, আমরা সেটাই চাই। তিনি বলেন- ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে নাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এটা একটা বিরাট প্রশ্ন?
আমরা আন্দোলন করেছি জনগণের ভোটের অধিকারের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দিয়ে একটি পার্লামেন্টারি সরকারের জন্য। এখনো তা হয় নাই। তাই আজকে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টাদের কাছে বলব জনগণের আকাঙ্খা  ও প্রত্যাশার বাইরে আপনারা পথ চললে আপনারাও হোঁচট খেতে পারেন।
তিনি  বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদেরকে প্রথম দিকে আমরা নৈতিক সমর্থন দিয়েছি। তারপরে দিয়েছি সর্বাত্মক সমর্থন। তারপরে ছদ্মবেশে ঢুকে গেছি সে আন্দোলনে। আমরা খালেদা জিয়ার, তারেক রহমান কিংবা বিএনপির নাম উচ্চারণ করি নাই। আমাদের দলের তরুণ সমাজ, ছাত্র-যুবক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের লোকদেরকে ছাত্রদের সাথে সম্পৃক্ত করে দিয়েছিলাম।  আন্দোলনের জনতা অংশ গ্রহন করেছিল,  সেই জনতা আমরা।
 এই জনতা আমজনতা না। রাজনৈতিক দলের সক্রিয় জনতা ও আমজনতা এক না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে আমরা বলেছিলাম অভিভাবকের সহযোগিতা চাও, সেই অভিভাবক আমরা। 
তিনি বলেন, সুতরাং
 বিজয়ের ফসলের শিরোপা তোমাদের মাথায় তুলে দিয়েছি। অবহেলা, অযত্নে, অহংকারবোধে সেই শিরোপা যেন মাথা থেকে না পড়ে যায়। ইদানিংকালে যে অহমিকা সুলভ কথাবার্তা ও রাজনৈতিক নেতাদেরকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে এটা ঠিক কাজ না। 
 পাকিস্তানিদের বৈষম্য করার কারণে ৭১ এ নাকি জনযুদ্ধ হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধ হয়নি।  যারা ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না, তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে রাষ্ট্রদ্রোহী।  ৭১’ র পরাজিত শক্তি ও ৭ নভেম্বরের পরাজিত শক্তি ভেতরে ভেতরে এক হচ্ছে। তারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।  ইদানিংকালে একটা দল চোখ রাঙিয়ে কথা বলে। এতটা চোখ রাঙ্গানি ভালো না। জবাব একাত্তরে দিয়েছি। এখন যদি দিতে হয়, সেটা মঙ্গলজনক হবে না। 
জেলা বিএনপির আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। 
মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের রাজবাড়ী মাঠে জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয়  শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির ১নং যুগ্ন সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক শাফিন,  জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির মাস্টার, হেলাল উদ্দিন, আক্তারুল আলম মাস্টার, আবু তাহের মুসল্লী, দেওয়ান মোয়াজ্জেম, বিল্লাল হোসেন বেপারী, যুবদলের নেতা আতাউর রহমান মোল্লা। অনুষ্ঠানের পরিচালনা  করেন জেলা  বিএনপির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার  চৌধুরী ইসরাক আহমদ সিদ্দিকী।
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments