আবু সালেহ মোঃ হামিদুল্লাহ ,কটিয়াদী,(কিশোরগঞ্জ) নিজস্ব প্রতিনিধি।
নজিরবিহীন বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মানুষের জনজীবন। দিনে দিনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার মান। কটিয়াদীবাসী মনে করেন অতীতে কখনো এরকম লোডশেডিংয়ের কবলে তাদের পড়তে হয়নি।
তাদের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উপর। কিন্তু বাস্তবে তার কোনোটারই দৃশ্যমান প্রতিফলন ঘটছে না বরং জনসাধারণ মনে করছেন বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিশেষ করে বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ের কারণে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছে। কটিয়াদীতে পল্লী বিদ্যুতের ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা বিভিন্ন অভিযোগের কথা তুলে ধরে বলেন, দিনে রাতে ২৪ ঘন্টায় মধ্যে ঠিকমতো (৪-৫) ঘন্টাও বিদ্যুতের দেখা মেলে না। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন দিন-রাত অতিবাহিত হচ্ছে এখানকার মানুষের। মাঝে মাঝে বিদ্যুতের দেখা মিললেও তা সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মতো স্থায়ী হয় কিনা সন্দেহ পোষণ করছেন। এখানকার সর্বসাধারণের ধারণা এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে দিনে দিনে জনগণের ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়ে জনরোষে পরিণত হতে পারে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেশিরভাগ গ্রাহকরাই বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ গ্রাহকের একই অভিযোগ ২৪ ঘন্টায় (৪-৫) ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলেও কিন্তু প্রতিমাসেই পূর্বের মাসের তুলনায় দ্বিগুণ ভূতুড়ে বিল আসছে।
কাঙ্ক্ষিত বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ না করেও এই দ্বিগুণ বিল দিতে তারা অপরাগতা প্রকাশ করছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের বিলের পেপারের সাথে মিটারের ইউনিটের সামঞ্জস্য দেখা মিলছে। ভূক্তভোগী গ্রাহক ও সচেতন মহলের জনসাধারণের মতামত এই নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ের কারণে তাদের সুস্থ জীবন যাত্রার ব্যঘাত ঘটছে। তারা ঠিকমত কাজকর্ম করতে পারছে না, ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা ঠিক মতো করতে পারছে না, শিক্ষার্থীরা রাতে ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারছে না। এদের মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি অসুন্তষ্ট প্রকাশ করে বলেন এভাবে দিনের পর দিন লোডশেডিং চলতে থাকলে একসময় তাদের ব্যবসায় ধ্বস নেমে আসবে বলে।
কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা আরো বলেন, বর্তমানে কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোডশেডিংয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো সিডিউল নেই, কর্মকর্তাদের খেয়ালখুশি অনুযায়ী বিদ্যুৎ বন্টন করছেন। এমতাবস্থায় সরকারের প্রতি তাদের একটাই দাবি অতি দ্রুত বিদ্যুতের এই নাকাল অবস্থা থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হোক।