রংপুরের পীরগাছায় নিজ উদ্যোগে সৌখিনভাবে গড়ে তুলেছেন লেয়ার জাতের মুরগির খামার। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কিসামত ঝিনিয়া এলাকার কৃষক হেলাল সরকারের খামারে হাজারো মুরগির কক কক শব্দে বুকের ভিতর কেমন যেন স্পন্দনের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। তিনি নিজ উদ্যোগে সৌখিনভাবে গড়ে তুলেছেন এই লেয়ার জাতের মুরগির খামার। তার এ খামারটি থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ৯০০শত ডিম।এমনই দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার পাঁকার মাথা বাজার থেকে সাতদরগা বাজার যাওয়ার পথে পাকা রাস্তা ঘেঁষে কিসামত ঝিনিয়া এলাকার কৃষক হেলাল সরকারের খামারে। এমন একটি খামার করে এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন তিনি। হেলাল সরকার পেশায় একজন কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি বাড়তি লাভের আশায় ছেলে হাবিব সরকারের পরামর্শে বাড়ির পাশেই গড়ে তুলেছেন লেয়ার জাতের মুরগির খামার। মুরগির খামার করে এলাকার অনেকে হোচট খেলেও তিনি লাভবান হয়েছেন। কৃষি কাজের পাশাপাশি ২০১২ সালে ছেলের পরামর্শ নিয়ে লেয়ার মুরগির সৌখিন খামারের যাত্রা শুরু করেন তিনি। বাড়ির পাশে ব্রয়লার মুরগি লালন পালন শুরু করেন এক হাজার মুরগী নিয়ে। বাঁশ কাঠির তৈরি খাঁচায় রাখা মুরগিগুলোকে পরিস্কার পাত্রে নিয়মিত খাবার পরিবেশনে কাজ করছেন তার ছেলে হাবিব সরকার।বর্তমানে এই খামারে প্রতিদিন তিন জনের অধিক কাজ করছেন। খামারে নিয়মিত ডিম উৎপাদন হচ্ছে ৯০০শত। এসব ডিম ক্রয়ে জেলা ও উপজেলা থেকে খামারে ছুটে আসছেন ব্যবসায়ীরা। তার সফলতায় উদ্যোগী হচ্ছেন আশপাশের অনেকে। খামারে সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় থাকা হাবিব সরকার জানান, লেয়ার মুরগি পালন অনেক লাভজনক। এই মুরগী পালন করে আমরা অনেক স্বাবলম্বী হয়েছি।খামারি হেলাল সরকার অভিযোগ করে বলেন, নিজ উদ্যোগে এগিয়ে গেলেও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মিলেনি কোনো পরামর্শ। স্বল্প সুদে ঋণ পেলে আরো এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন এই উদ্দোক্তা। মাসে সকল ধরনের খরচ বাদ দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার উপরে লাভ করে থাকেন তিনি। তবে ডিমের বাজারের উপর নির্ভর করে। যদি ডিমের বাজার ভালো থাকে তবে আরো বেশি লাভ হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডা.একরামুল হক মন্ডলকে একাধিক বার কল করে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে মেসেজ দিলেও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।