বাড়িবাংলাদেশেঢাকা বিভাগপুকুর পরিষ্কার করায় স্বেচ্ছাসেবীদের "দেখে নেওয়ার" হুমকি!

পুকুর পরিষ্কার করায় স্বেচ্ছাসেবীদের “দেখে নেওয়ার” হুমকি!

মোঃ কাউছার মিয়া,মনোহরদী(নরসিংদী)নিজস্ব প্রতিনিধি।

মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়ন এর চুলা গ্রামে অবস্থিত গোতাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পুকুরটি প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে।কিন্তুু একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রের কবলে পরে বর্তমানে পুকুরটি প্রায় ধংসের দ্বারপ্রান্তে।হামলা-মামলা’র ভয়ে পুকুরটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সংস্কারের সাহস পায় না কেউ।সম্প্রতি চুলা গ্রামের কিছু সাহসী,শিক্ষিত সচেতন কিশোর ও যুবসমাজ সকল প্রকার হামলা-মামলা কে উপেক্ষা করে,মালিকানা/অংশীদারত্বের বাইরে,ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় পুকুরটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সংস্কারের কাজ শুরু করে।তাদের এই মহৎ কাজে ক্ষিপ্ত হয়ে চুলা গ্রামের “কাজী বাড়ি’র” লোকজন স্বেচ্ছাসেবীদের নানান রকম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

গত ১১/০৬/২৪ ইং মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধা সাড়ে সাতটায় চুলার বাজারে মোঃ আবু কাউছার ভূঁইয়া নামক এক স্বেচ্ছাসেবক কে কাজী আজিজুল হক ওরুফে “কাজল মেম্বার”,কাজী দেলোয়ার হোসেন ওরুফে “দেলু ডাহাইত” ও তাদের বোন দিপালি আক্তার নানান রকম হুমকি-ধমকি দেন ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের কে নানান রকম গালি-গালাজ করেন এবং সবাইকে দেখে নেবেন বলে হুংকার প্রদর্শন করেন।একই ভাবে মোঃ রিফাত(টুটুল)ভূঁইয়া,মোঃ নূর হোসেন ভুঁইয়া,মোঃ মারুফ ও আশিক ভূঁইয়া সহ সবার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নানা প্রকার হুমকি ধমকি প্রদর্শন ও তাদের নামে মামলা করার কথা বলে আসেন।এ বিষয় কে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের উপরেও নানা প্রকার চাপ প্রয়োগ করছে “কাজী বাড়ী’র” মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সেচ্ছাসেবী জানান,দল-মত ও মালিকানা’র বাইরেও পুকুরটি’র একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্য ছিল।সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় আমরা নিঃস্বার্থ ভাবে পুকুরটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছি।এতে করে পুকুরের অন্যান্য অংশীদার ও এলাকাবাসী খুবই সন্তুষ্ট।প্রকৃতপক্ষে “কাজী বাড়ি’র” মানুষ খুশি হওয়ার কথা থাকলেও উল্টো আমাদের কে নানা রকম হুমকি-ধমিকর মাধ্যমে পুকুরটি সংস্কার এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কাজে বাধা-গ্রস্ত করছে।”কাজী বাড়ি” ও তাদের পালিত সন্ত্রাস এবং কিশোর-গ্যাং এর আতঙ্কে সাধারণ মানুষ পুকুর পাড়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে পুকুরের অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কথা বললে তারা জানান,আমাদের পুকুরটি বিগত ২০০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে আসছে।বিগত ২০০ বছরে পুকুরটি’র মালিকানায় রথ-বদল হলেও পুকুরটি সবসময়ই সর্ব-সাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।মানুষ তাদের যে কোন প্রয়োজনে পুকুরের পানি এবং সাময়ীক ভাবে পুকুরের পাড় ব্যবহার করতে পেড়েছে।আমাদের এই পুকুরটি ছিল অত্রাঞ্চলের মানুষের সাতার শেখার উন্মুক্ত স্কুল।কিন্তুু একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রে পুকুরটি প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে ধংসের কাছাকাছি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।কিন্তুু তাদের উপরে থাকা প্রভাবশালী দের ছত্রছায়া ও তাদের পালিত মাদক-সেবী সন্ত্রাসী বাহিনী, এবং কিশোর-গ্যাং এর ভয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে কেউ’ই পুকুরটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার করতে পারছিল না।গত ১১ তারিখ এলাকার সচেতন যুব-সমাজ এর কিছু স্বেচ্ছাসেবক’রা কঠোর পরিশ্রম এর মাধ্যমে পুকুরটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে।তারই জের ধরে “কাজী বাড়ি’র” মানুষ ক্ষ্রিপ্ত হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দেরকে রাস্তা-ঘাটে,ফোনে এবং বাড়িতে গিয়ে নানা রকম হুমকি-ধমকি ও মামলা’র ভয় দেখাচ্ছে।এতে করে স্বেচ্ছাসেবক দের পরিবারের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।সচেতন যুব সমাজের এই স্বেচ্ছাসেবক’রা বিগত সময়েও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।যে কোন ভাল কাজে তারা ছিল অগ্রগামী।কিন্তুু “কাজী বাড়ি’র” এসমস্ত হুমকি-ধমকি এবং মামলা-মোকদ্দমার কথা বলে ভয়-ভীতি দেখানোর কারণে সচেতন যুব-সমাজ এর এসব সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং পুকুরটি’র ইতিহাস ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি আমরা।এসব কূটকৌশল,ষড়যন্ত্র,হুমকি-ধমকি,মামলা-মোকদ্দমা’র ভয় দেখানো,তাদের পালিত মাদকসেবী সন্ত্রাসী এবং কিশোর-গ্যাং এর মহড়া’র মাধ্যামে “কাজী বাড়ি’র মানুষ এলাকার সামাজিক ঐক্য নষ্ট করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং পুকুরটি’র বিগত ২০০ বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য নষ্ট করার পায়তারা করছে।এসমস্ত কার্য-কলাপের কারণে বিগত সময়েও তারা এলাকা থেকে বিতারিত হয়েছিল।”কাজী বাড়ি’র” এসব দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম বন্ধ করে সামাজিক ঐক্য ও সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং “কাজী বাড়ি’র” সৃষ্টি করা সকল-প্রকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে আমরা সকলেই প্রশাসন এর সু-দৃষ্টি এবং হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments