মো:ওসমান গনি; শিবগঞ্জ (বগুড়া) নিজস্ব প্রতিনিধি:

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, পোস্টাল রঙ্গিল করে লাভ নেই, সাধারণ মানুষের মাঝে ভোটের আমেজ নেই। বর্তমান সরকার শেখ হাসিনা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন মানেই প্রহসনের নির্বাচন।

দখলদার আওয়ামী সরকার আসন্ন প্রতারণা মূলক ডামি, উপজেলা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন করবে না। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। সাধারণ মানুষ বিএনপির পক্ষে রয়েছে কারণ তারা সরকারের পাতানো নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে যায় না। আমি তুমি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মী ও কুকুর কে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রধান নির্বাচন কমকর্তা ইসি হাবিবুল আউয়াল বলেছেন একজন ভোটার ভোট কেন্দ্রে গেলেও ভোট সুষ্ঠু হবে।

আওয়ামী লীগ নেতারা ডামি নির্বাচনে মেতে উঠেছে, ভোটারদের কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য অর্থের লোভ দেখাচ্ছে ও ভয়-ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান করছেন বলে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি বলেন বিএনপি’র নেতাকর্মীদের টাকা দিয়ে কিনা যায় না। বিএনপি যখন ভোটে যায় তখন এদেশের মানুষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ভোট কেন্দ্রে যায়। যতদিন সাধারণ মানুষদের ভোটের অধিকার ফিরে দিতে পারবে না ততদিন বিএনপি রাজপথ থাকবে।

আসন্ন উপজেলা বিএনপির কোন নেতা তলে তলে আঁতাত করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শেখ হাসিনার দুঃশাসনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন পরলোকে আর ভোটাররা নিজগৃহে পরবাসী হয়েছে। এদের আমলে কখনোই জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের কোন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি দাবী করেন জেলা বিএনপির সভাপতি।

শিবগঞ্জ থানা ও পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার বিকালে সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত ভোট বর্জনের পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মীর শাহে আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার হেনা। থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পদাক এ্যাড আব্দুল ওহাবের পরিচালনায় পথ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, ডা. এম.আর ইসলাম স্বাধীন, শিবগঞ্জ থানা বিএনপি নেতা এসএম তাজুল ইসলাম, হারুন মাস্টার প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা রুকুন-উদ-দৌলা- রুবেল, বুলবুল ইসলাম, আব্দুল করিম, মাহমুদ হোসেন তৌফিক, তোফায়েল আহমেদ সাবু, আব্দুল ওয়ারেছ আকন্দ, আকবর আলী তালুকদার, তাহেরুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, মহিলা নেত্রী মিনেরা বেগম, যুবদল খালিদ হাসান আরমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাসুদ রানা, রায়হানুল হক রনি, শ্রমিক দল নেতা এম.আর মিজান, ছাত্রদল নেতা বিপুল, মাহদী হাসান তমাল প্রমুখ।