বাড়িবাংলাদেশেঢাকা বিভাগ বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর- চন্দ্রা মহাসড়কে  শ্রমিকদের বিক্ষোভ

 বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর- চন্দ্রা মহাসড়কে  শ্রমিকদের বিক্ষোভ

অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ

সাভারে ডিইপিজেড এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে  ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ (ডিইপিজেড) এলাকায় লেনি ফ্যাশন লিমিটেড ও  লেনি অ্যাপারেলস  লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা  বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে  বিক্ষোভ কর্মসূচি  পালন করে । পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারনে   নবীনগর – চন্দ্রা মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ঢাকা- টাঙ্গাইলসহ উওরবঙ্গের যানবাহন চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিকরা জানায়,   ২০২০ সালে করোনার অজুহাতে লেনি ফ্যাশন কারখানা  কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দেয়। পরে  কারখানা লে আউট ঘোষণা করা হয় । শ্রমিকদের ওই বছরের জানুয়ারি মাসের বেতন, সার্ভিস বেনিফিড পরিশোধ কর্তৃপক্ষ করছে না। শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে বার বার  কর্তৃপক্ষ বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্ত বিগত চার বছরের ও শ্রমিকদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শ্রমিকদের সকল বকেয়া পরিশোধ করে দেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। বেপজা কর্তৃপক্ষ  নোটিশ কিংবা চিঠি দিয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।

শিল্প পুলিশ – ১  পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ডিইপিজেডের লেনি ফ্যাশন শ্রমিকরা বকেয়া  টাকার দাবিতে মহাসড়কে অবস্থানে বিক্ষোভ করছেন।  আমরা বেপজা  কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
দিনের পর দিন  পোশাক শিল্পের শ্রমিক অসন্তোষ বেড়েই চলছে। এক গার্মেন্টস কারখানার সমাস্যার হলে অন্য গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। পোশাক শিল্পে শ্রমিক বিক্ষোভের কারনে  অনেক কারখানা অচল হয়ে পড়েছে । গার্মেন্টস কারখানা অচল হয়ে পড়লে  মালিক ও শ্রমিকদের ক্ষতির পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের বাধার সৃষ্টি করে।

গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিকদের  বকেয়া বেতন,  বেতন বৃদ্ধি  ও কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে  আন্দোলন বেশি হয় ।   গার্মেন্টস কারখানায় সুন্দর  পরিবেশ সৃষ্টি করতে মালিক, শ্রমিক নেতা, ও শ্রমিকদের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন ।  গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ হলে কারখানার  মালিকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি  শ্রমিক ছাঁটাইয়েট ফলে  দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
কোন কোন গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিকরা  ক্ষিপ্ত হয়ে গার্মেন্টস কারখানা ভাংচুরের  ঘটনাও ঘটছে। গার্মেন্টস শিল্পের  সম্প্রসারণের ফলে  নারী,পুরুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি  সমাজের উন্নয়ন  হয়েছে। পোশাক শিল্প  জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পোশাক শিল্পে  নারীদের কর্মসংস্থানের  সুযোগ সৃষ্টি  হচ্ছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ফলে পরিবারের ও সামাজিক ভাবে তাদের  মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীদের  আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কারনে সন্তান  ও পরিবারের চাহিদা পূরন করতে পারছেন। নারীদের কর্মসংস্থানের কারনে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পাশাপাশি  সন্তানদের স্কুলে পড়ালেখা করাতে পারছেন।  এতে দেশের নিরক্ষতার সংখ্যা কমে সাক্ষরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মহাসড়কে যানবাহন আটকা  দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হবার কারণে সাধারণ মানুষের  চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments