
সাজেদুল ইসলাম রাসেল, বগুড়া সদর(বগুড়া)নিজস্ব প্রতিনিধি
বয়স (৭০) পার হলেও ভাগ্যে জোটে নি বয়স্ক ভাতার কার্ড অসুস্থ মেয়ে ও তার পরিবারকে নিয়ে চলছে মানবতার জীবন যাপন।
বগুড়ায় সদর পৌরসভার ১১,নং ওয়ার্ড মালতী নগর পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৭০)। এই বয়সেও তার ভাগ্যে জোটেনি একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডটি পর্যন্ত আজ যেন শুধু চেয়ে থাকা ছাড়া আর কোন ভাবনা ভাবতে পারেনা সারাদিন শুধু এদিক সেদিক চোখ ঘুরপাক করে দেখতে থাকেন হাত পা অচল আর মুখ দিয়ে কথা না বলতে পারলেও,মণ থেকে সব বুঝতে পারে আর ভাবতে থাকেন জীবন যুদ্ধে এই বুঝি তার প্রদীপ নিভে যায়,আর তখন তার পরিবারের একটি দশ বছরের ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে নেই সামান্য টুকু মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই পরিবারের কোনো উপার্জন কারি ব্যাক্তি কিছু দিন আগে তার একটি মাত্র মেয়েকে গ্রাম বাসির সহযোগিতায় বিয়ে দেয় এবং তার মেয়ের একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয় যার বয়স (৪), বছর হঠাৎ করে সেই মেয়ের ও কোমরের দুটি হিপ জয়েন্ট নষ্ট হয়ে যায় যার অপেরাশন করতে ডাক্তার বলছেন ১০/১২ লক্ষ টাকা লাগবে আর কথা জানার পর মেয়েটির স্বামী তাকে তার এই অসহায় বাবার ঘরে রেখে চলে যায় আর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এমতাবস্থায় বৃদ্ধ আবুল কালাম তার ঘরে একটা দশ বছরের ছোট বাচ্চা ও বিকলাঙ্গ মেয়ে নাতি কে নিয়ে কোথায় যাবে কিভাবে তার এই সংসারের ভরন পোষন ও তার মেয়ের ব্যায় বহুল চিকিৎসা নিয়ে সারাদিন শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে আর চোখঁ দিয়ে অশ্রু ঝারাতে থাকে ,এভাবে একটি অসহায় পরিবারের জীবন যাপন চলছে নিভু নিভু করে কিছুদিন আগেও যে ব্যক্তি পায়ে রিকশা চালিয়ে তার পরিবারের মুখে দুবেলা দুমুঠো আহার জোগাতেন, আজ তিনি
সারাদিন চেয়ারে বসে কান্না জনিত চোখে তার মনের কথাগুলো বোঝাতে চেয়েছে কিন্তু মুখ দিয়ে তা বলতে পারছেন কারণ মহামারী প্যারালাইসিস কেড়ে নিয়েছে তার মুখের ভাষা তার পায়ের শক্তি , শুধু তার নয় তার একটি মেয়ের ও দুই পায়ের একমাত্র দশ বছরের ছেলে ও বিকলাঙ্গ মেয়ে কে নিয়ে তার চোখে মুখে শুধু হাজারী , তার ও এলাকাবাসীর দাবি এই অসহায় পরিবারের পাশে দাবি সমাজের বিত্তবান ও সরকার যেনো এই অসহায় পরিবারের জন্য থাকার একটা ব্যবস্থা ও তার মেয়ের চিকিৎসা খরচ বহনের জন্য পাশে এসে দাঁড়ায়।