মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রী তোলার সময় পরপর তিনটি বাসের ধাক্কায় লাগে। এঘটনায় বাসের নিচে চাপা পরে শিশুসহ দুজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। ১৪ আগষ্ট রবিবার দুপুর ৩টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের কেয়টখালি এলাকায় ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় আহত ১১ জনকে চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি। দুজনের মধ্যে একজনের বয়স আনুমানিক ৫ বছর ও আরেক জনের ২১ বছর।
দূর্ঘটনায় আহতরা হলেন, তানিয়া আক্তার (২৫), সুমাইয়া(১৮), আক্তার হোসেন (৩৩), তনয় বরাল (২৩), ফেরদৌসি আক্তার (৫০), হেনারা বেগম (৬১), শিরীন সুলতানা (৩৮), মনির হোসেন (৪০), নজরুল ইসলাম (৬০), হাসানা (৩৩), গোলাম কবীর (৪৫)।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে নিহত ওই দুজন বাসে ওঠার জন্য কেয়টখালি এলাকায় এক্সপ্রেসের পাশে অপেক্ষায় ছিল। এ সময় ঢাকামুখী মোল্লা পরিবহন’র একটি বাস তাদের ওঠানোর জন্য গতি কমিয়ে আনে। এ সময় পেছন হতে আসা সাকুরা পরিবহন ও শরীয়তপুর পরিবহনের অপর দুটি বাস পরপর পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে থাকা মোল্লা পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিশু ও ব্যক্তিকে চাপ দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। আহত হয় তিন বাসে থাকা অন্তত ২০ যাত্রী। দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যায় তিনটি বাসের বিভিন্ন অংশ। খবর পেয়ে আহত নিহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ।
শ্রীনগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাফুজ রিবেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত গতিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটি বাসই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. জোবায়েদ আহসান খান জানান, বাস দুর্ঘটনায় ১০জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, গাড়ি তিনটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রাস্তাটি প্রায় ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট ছিল। কিছু সময় বাস চলাচল বন্ধ ছিল।