প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ৪:১৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ৬:৪২ এ.এম
বদরগঞ্জে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম

মোঃ ইনামুল হক, বদরগঞ্জ,(রংপুর)শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ
বদরগঞ্জ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে এ বছর সবজির বাম্পার ফলন ও বাজারে সরবারহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমতে শুরু করেছে সব ধরনের সবজির দাম।
এক সপ্তাহ আগে সবজি বেশি দামে বিক্রি হলেও এখন তা কেজি প্রতি দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ফলে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যে।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ভালো ফলনের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সব ধরনের সবজি।
জানা যায়, সবজি উৎপাদনের মধ্যে রংপুরের অন্য উপজেলার মধ্যে বদরগঞ্জ উপজেলা অন্যতম। তাই বদরগঞ্জ উপজেলা কে সবজির ভাণ্ডার বলা হয়।
প্রতিবছর উজেলায় প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন করে থাকেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
যেখানে উজেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য যাচ্ছে আশ পাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার হাটবাজার গুলোতে । এছাড়া চলতি বছর বদরগঞ্জ উপজেলায় বন্যার প্রভাব না পড়া ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতের আগাম সবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে শীতকালীন সব ধরনের সবজি এক সঙ্গে বাজারে ওঠায় দাম কমতে শুরু করেছে।
রোববার বিকাল ৫ টায়, উপজেলার শেখেরহাট বাজার,চিলাপাক বাজার, চাঁপাতলি ও লালদীঘি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের সবজি আগের চেয়ে কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাজারে এখন প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, করলা, ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, মুলা ১০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মিষ্টি লাউ ৩৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপির দাম কমে ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বাধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।
এদিকে বদরগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির মোকাম পৌরবাজার পাইকারি প্রতিটি সবজির দাম প্রতি মণে কমেছে ২৪০ থেকে ৩১০ টাকা।
বদরগঞ্জ উপজেলার ৯নং দামোদরপুর ইউনিয়নের মোস্তফাপুর এলাকার কৃষক রহিম মিয়া জানান,যমুনেশ্বরী নদীর চরের জমির মাটি খুব উর্বর। তাই তারা এসব জমিতে প্রতিবছর সবজির চাষ করে থাকি। এ বছর শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনে আমরা খুশি। আশা করছি সবজি চাষে খরচ বাদে আমাদের ভালই লাভ থাকবে।
শেখেরহাট বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী আমীরুল ইসলাম বলেন, বাজারে শীতের সব ধরনের সবজি একসঙ্গে ওঠতে শুরু করায় সরবরাহ বেড়ছে। আর এ কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। দাম কমার কারণে ক্রেতারা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন। বাজারে সবজি বৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে কেজি প্রতি সবজির দাম আরো কমবে।
লালদীঘি বাজারের সবজি ক্রেতা হামিদ খান জানান, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবজি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সবজির দাম বাড়লে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ক্রয় করা কষ্ট হয়ে যায়। এখন বাজারের প্রতিটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা কমেছে। আমরা সাধারণ ক্রেতারা চাই আসন্ন রমজানে ও যেন দামের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে।
কপিরাইট@২০২৩ দৈনিক প্রথম বাংলা। সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত