
বাংলাদেশে গরু পাচারে জড়িত বিএসএফ, সিবিআইয়ের চার্জশিট।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের ক্ষেত্রে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ যে সক্রিয় ভাবে যুক্ত এবং এই বাহিনীর সদস্য ও কর্মকর্তারা পাচারের বখরা বা ভাগ পেয়ে থাকেন ভারত সরকারেরই সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই’র চার্জশিটে সে কথা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হলো।
প্রতিটি পাচার হওয়া গরুর জন্য বিএসএফ অন্তত ২০০০ টাকা করে ও শুল্ক বিভাগ ৫০০ টাকা করে পেতো। বাংলাদেশ থেকে বিএসএফ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এই অর্থ পাঠানো হতো হাওয়ালার মাধ্যমে।
বিএসএফ কি তাহলে সীমান্তে কোনও গরুই আটকাতো না? হ্যাঁ, অবশ্যই আটকাতো পাচারকারীদের সঙ্গে আর্থিক বনিবনা না হলেই আটকাতো। কিন্তু সেখানেও ছিল জালিয়াতি। কারণ, আটক করা গরু গুলো পশুর হাটে নিলামের জন্য পাঠানোর কথা। আর বিএসএফ সেখানেও বড় সাইজের গরু গুলোকে ‘বাছুর’ হিসেবে দেখিয়ে পাঠাতো, যাতে বিএসএফ এর ঘনিষ্ঠ স্মাগলাররা সেগুলো অনেক সস্তায় কিনে নিতে পারেন। যথারীতি সেই বাড়তি মুনাফার হিসসাও পৌঁছে যেতো বিএসএফের কাছে।
ভারতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঘোষিত নীতিই হলো, বাংলাদেশ সীমান্তে গরুর পাচার শূন্যে নামিয়ে আনা। সেখানে তাদের অধীন সিবিআইও যখন বলছে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীই সেই চোরাকারবারে সক্রিয় ভাবে যুক্ত, তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্যও বিষয়টি ‘ডিফেন্ড’ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে।
ছবিঃ- চলতি সপ্তাহে ভারত সীমান্তের ভেতরে বিএসএফ এর হাতে নিহত একজন বাংলাদেশী গরু ব্যবসায়ী।