বাড়িবরিশাল বিভাগপটুয়াখালী জেলাবাউফলে প্রতিপক্ষের ভয়ে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন একই পরিবারের ৭জন

বাউফলে প্রতিপক্ষের ভয়ে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন একই পরিবারের ৭জন

মো. ফোরকান, বাউফল(পটুয়াখালী) 
পটুয়াখালীর বাউফলে একই পরিবারের ওপরে দুই দফা হামলার অভিযোগ। হামলার ভয়ে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন একই পরিবারের ৭জন।
 গত ১৯মার্চ  হামলা চালিয়ে মঞ্জুর রহমান (৬৫) নামের এক ব্যক্তিকে জখম করে প্রতিপক্ষরা। ওই ঘটনায় বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে পরদিন উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে আয়নাবাজ কালাইয়া গ্রামে সরেজমিনে তদন্ত করে পুলিশ। থানায় অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২১ তারিখ দ্বিতীয় দফায় মঞ্জুর বসতঘরে হামলা করে একই বাড়ির প্রতিপক্ষ মালেক ও জসিম গংরা। এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয় ১৫ মাসের এক শিশু। এসব ঘটনা ঘটেছে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে।
 ২য় দফায় হামলার সময় মঞ্জুর রহমানকে মারধরের ঘটনার তদন্ত অফিসার এএসআই শাহিনকে ফোন দিয়েও কোনো সহযোগিতা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। তবে মুঠোফোন রেকর্ডে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এমনকি মামলার জন্য ঘুষ দাবির অভিযোগও উঠেছে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। 
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আইনের সহযোগিতা না পাওয়ায়, হামলায় আহত অসুস্থ শিশুকে নিয়ে রাতভর গৃহবন্দী থেকে পরদিন সকালে হাসপাতালে নেয়া হয়। হামলার আতঙ্কে হাসপাতালেই আশ্রয় নিয়েছে পরিবারের ৬জন নারী ও শিশু। আজ তিন দিন হাসপাতালেই আছেন আহত মঞ্জু পঞ্চায়েত তার আহত নাতি, স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধু এবং পরিবারের আরো দুই শিশু। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তার দুই ছেলে আনোয়ার ও আবির। এরপরেও মামলা নিতে রাজি হয়নি বাউফল থানার পুলিশ। তদন্ত অফিসার এএসআই শাহিন মামলার জন্য  ১০হাজার টাকা দাবি করেন। এর মধ্যে সাড়ে তিন হাজার টাকা তিনি নিয়েছেন। এখন বলছেন আপোষ করতে। 
এবিষয়ে একাধিক মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অভিযুক্ত জসিমের সংযোগ পাওয়া যায়নি। 
থানায় গিয়ে এবং মুঠোফোনে চেষ্টা করেও এএসআই শাহিনের এবিষয়ে কোনো মন্তব্য জানা যায়নি। 
 বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি একটু ঢাকায় আছি। অভিযোগের বিষয় না জেনে কিছুই বলতে পারছি না। কাল থানায় পৌঁছে বিষয়টা খতিয়ে দেখা হবে । 
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments