
সাজন দেব বর্মা : নিজস্ব প্রতিনিধি বাহুবল, হবিগঞ্জ।
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার বাবনাকান্দি খালের ব্রীজের পাশ থেকে তাজুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে বাবনাকান্দি গ্রামের সফর আলীর পুত্র। গত ৮ জানুয়ারি সকাল ১১টার দিকে খোজা খুজির এক পর্যায়ে ব্রীজের পাশে খালের পাড়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন লাশের ভাই নুরুল ইসলাম। লাশ দেখে ডাকাডাকি শুরু করলে গ্রামের লোকজনদের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বাহুবল মডেল থানায় জানালে পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সরেজমিনে গেলে লাশের পরিবার ও গ্রামবাসীর সাথে আলাপ করলে তারা জানান, মৃত তাজুল ইসলাম ছিল কিছুটা ভারসাম্যহীন। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতেন। গত ২৮ মে ২০২৪ তাজুল ইসলামকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বাংলাইন বিলের পাড়ে অচেতন অবস্থায় পেয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। বিগত দুই মাস পূর্বে বাহুবল উপজেলা সদরের কাদের চৌধুরীর বাসভবনের ছাদের উপর থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে গেলে তার এক হাত ভেঙ্গে যায়। এর পর থেকে তার হাতের চিকিৎসা চলছিল। আনুমানিক মাস খানেক পূর্বে বাড়ির পাশেই তার হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে গলায় পুচ মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পরিবারের লোকজনের দ্রুত হস্তক্ষেপে প্রাণে রক্ষা পায়। উল্লেখ্য, তাজুল ইসলামের পিতা সফর আলীও বিগত ২০/২২ বছর নিখোঁজ রয়েছে। তার পিতা এখনো জীবিত নাকি মৃত পরিবারের কেউ জানে না। এদিকে মৃত তাজুল ইসলামের ভাই নুরুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারকালে তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে। তবে এ নিয়ে মৃতের মা, বোনসহ পরিবারের লোকজন তাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় কোন সন্দেহ নেই বলে জানান। তবে গ্রামের খালেক মিয়া, আফছর, আওলাদ, আলমগীর ও সাবাজসহ গ্রামের একটি স্বার্থাম্বেষী মহল হত্যা মামলা দায়ের করার জন্য মৃতের পরিবারকে চাপ দিচ্ছে বলে জানান। মামলা না করলে মৃত তাজুলের পরিবারকে গ্রামে থাকতে দিবে না বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলেন জানান। অনুসন্ধানে জানা যায়, বাবনাকান্দি গ্রামে দুপক্ষের মাঝে পূর্ব বিরোধ থাকায় একটি পক্ষ ওই তাজুলের লাশ নিয়ে মামলা দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে বলে সচেতন ব্যক্তিবর্গের মন্তব্য।