
মোহাম্মদ আফজাল হোসেন জয়, লামা(বান্দরবান) বিশেষ প্রতিনিধি।
বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজ নগর ইউনিয়নের বৃহত্তর চিউনি পাড়া এলাকার বহু গ্রামে বিদ্যুৎ এর লো ভোল্টেজ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে, অসংখ্য বিদ্যুৎ গ্রাহক তাদের বাড়ি ঘর, দোকান পাট, হোটেল রেস্তোরা সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত এর লো ভোল্টেজ এর অভিযোগ তুলেছেন।
গ্রাহকগন জানান “দীর্ঘ দিন যাবত বিদ্যুৎ এর লোভোল্টেজ চরম ভাবে দূর্ভোগ সৃষ্টি করেছে জন জীবনে, যা এখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌছে গেছে। এখন পাহাড়ি জনপদে অসহনীয় গরম পড়ছে, তাছাড়া রমজান মাস চলছে এই মাসেও বিদ্যুৎ এর লোভোল্টেজ আমাদের বেশ কষ্টে ফেলেছে। আমরা ভোল্টেজ কম পাওয়াতে মোটর দিয়ে পানি তুলতে পারছিনা। কোথাও কোথাও সামান্য পানি উঠছে।
কিছু কিছু গ্রাহকের অভিযোগ করেন যে, তারা ফসল ক্ষেত, লেবু বাগানে পানি দিতে পারছেনা কারন বিদ্যুৎ এর ভোল্টেজ কম থাকায় মোটর দিয়ে বাগানে পানি দেয়া যাচ্ছেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাহক বলেন “কি বলব কষ্টের কথা,আমার বাচ্চাটা অসুস্থ, দুই দিন যাবত বাচ্চাটাকে নেবুলাইজার দিতে পারছিনা, ভোল্টেজ এতো কম যে, নেবুলাইজার মেশিনটাও চলেনা”।
সোলেমান বাজার ক্যাম্প বাজার এর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনেকেই অভিযোগ করেন, এতো লোভোল্টেজ যে ফ্যানও ঘুরতে চায়না, বিদ্যুৎ এর ভাল্ব জলে মিটমিট করে, তাছাড়া আমরা চরম ভাবে পানি সমস্যায় ভুগছি কারনে পাম্প দিয়ে পানি উঠছেনা বল্লেই চলে। এমন অবস্থায় ব্যবসা করা খু্ব কঠিন হয়ে পড়েছে।
হাবিবিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার পরিচালক, ক্যাম্প বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ঈমাম হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হক বলেন “ভোল্টেজ এতো কম যে আজ সারা দিন মাদ্রাসায় পানি তুলতে পারিনি, মসজিদে একি অবস্থা,
তারাবির সময় পানির সমস্যা হয়, মসজিদের ফ্যান ঘুরে খুব ধীর গতিতে,এতে করে মুসল্লিদের খুব কষ্ট হয়”।
বিদ্যুৎ গ্রাহক গণ বলেন, “প্রায় সময় ভোল্টেজ ১৫০/১৫৫ ভোল্ট থাকে। মাঝে মধ্যে আরও কম হয়ে যায় ভোল্টেজ, তখন আমরা খুব সমস্যায পড়ি”।
বিদ্যুৎ গ্রাহক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন ” এখানের ট্রান্সমিটারটির পাওয়ার অনুযায়ী মিটারের সংখ্যা দ্বিগুন হবে, তাই আমরা ভোল্টেজ পাচ্ছিনা, তিনি আরও বলেন মাঝে মাঝে এই ট্রান্সমিটারে আগুন জ্বলে উঠে, তিনি বলেন আমরা এলাকাবাসি চাই বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃপক্ষ, কম পাওয়ার এর এই ট্রান্সমিটার টি সরিয়ে নিয়ে, গ্রাহক সংখ্যানুযায়ী এখানে একটি আরও বেশি পাওয়ারি ট্রান্সমিটার বসিয়ে দিক, তাহলে আমাদের ভোগান্তি লাঘব হবে”।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সকল মিটারে ভোল্টেজ প্রায় ১৫৫/১৬০ ভোল্ট।
এবিষয়ে আজিজ নগর সাবস্টেশন এর লাইনম্যান মিজবাহ উদ্দীন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,” ৩৩ কেভিতে ভো্ল্টেজ নাই, অর্থাৎ দোহাজারি হতে আসা ৩৩ কেভি লাইনটি হতে আমরা ভোল্টেজ পাচ্ছি কম”। সোলেমান বাজারের ট্রান্সমিটার টি থেকে কম ভোল্টেজ পাওয়ার কারন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন,”এখানে আর্থিন কম পায় হয়তো”। এটার সমাধান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে ভাল জানবেন”।
এবিষয়ে জানার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলি (চকরিয়া) এর মোবাইলে কল দেয়া হলে, তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।