বিশ্বশান্তি কামনায় রঘুনাথপুর রক্ষিত বাড়ি ২৮৮ তম দোল উৎসব পালন করা হয়েছে। রক্ষিত বাড়ির বংশধরেরা পূর্ব পুরুষের পালন করা দোল উৎসব এখনো পালন করে আসছেন। এলাকার হিন্দু মুসলিমের সম্প্রীতির এক মিলন বন্ধন রক্ষিত বাড়ির দোল উৎসব। রক্ষিত বাড়ির পূর্বপুরুষের তৈরি করা পিতলের তৈরি রাধা গোবিন্দের মূর্তি দিয়ে দোল উৎসব পালন করছে রক্ষিত বাড়ির বংশধরেরা।
ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা বা দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর দোল পূর্নিমা তিথি গ্রহণের সময় পড়েছে। পূর্ণিমা তিথি আজ সোমবার ২৫ শে মার্চ ১২ টা ২৯ মিনিটে শেষ হবে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার প্রিয় গোপী, রাধার প্রেমের চিরন্তন বন্ধন কে ধরে রাখার জন্য প্রাচীন কাল থেকেই দোল উৎসব পালন করে আসছেন। দোল পূর্নিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে শ্রীরাধা ও গোপিদের সাথে নিয়ে রঙ খেলে ছিলেন। মহা প্রভু শ্রী চৈতন্যের জন্ম হয়েছিল এই পূর্নিমা তিথিতে।
ফাল্গুনী পূর্ণিমার আগের দিন শুক্লা চর্তুদশী
তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ ও বলরাম মিলে দুই দৈত্য কে হত্যা করে। এর পর শুকনো কাঠ, খড়কুটো দিয়ে তাদের আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সেই থেকে দোল পূর্নিমার আগের দিন ন্যাড়া পোড়া প্রচলন হয়।
হিন্দুদের বিশ্বাস মতে, বৃন্দাবনে রাধা ও কৃষ্ণের দ্বারা হোলি খেলার উৎসব পালিত হয়েছিল। হোলি খেলার মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয় নির্দেশ করে।
দোলযাএা,দোল উৎসব,কিংবা হোলি খেলা নামেও পরিচিত।
রক্ষিত বাড়ির পুরোহিত দীনেশ চক্রবর্ত্তী জানান, গতকাল রাতে ন্যাড়া পোড়া হয়েছে। আজ সোমবার গোবিন্দের দোল উৎসব, মঙলবার নারায়ন পূজা ও হোলি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
রক্ষিত বাড়ির বংশধর উৎপল রক্ষিত জানান, সকল মানুষের শান্তি কামনায় ও অন্যায়ের পতন ন্যায়ের জয়ের জন্য রক্ষিত পরিবার প্রতি বছর দোল উৎসব পালন করে থাকে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বেলায়েত হোসেন জানান, আমার বয়স ৭৪ বছর। আমি আমার দাদার কাছে শোনেছি রক্ষিত বাড়ির দোল উৎসবের কথা। এলাকার হিন্দু মুসলিম সম্প্রতির এক মিলন বন্ধন রক্ষিত বাড়ির দোল উৎসব। এ উৎসবে এলাকার হিন্দু মুসলিম একএে আনন্দ উপভোগ করি।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দোল উৎসব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দোল উৎসব পাল করে থাকে। গতকাল রাতে ন্যাড়াপোড়া, আজ সোমবার দোল উৎসব, কাল মঙলবার হোলি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।