
মো:ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)নিজস্ব প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জহাট ইজারাদার নুরুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেন ৬ বছর গত হয় স্ত্রী-সন্তান থাকা স্বত্ত্বেও স্থানীয় মহাদেবপুর এলাকার মনসুর আলীর মেয়ে তৃতীয় লিঙ্গ সাথী আক্তার কে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী দ্বিতীয় বিবাহ করে।
সাথীর লিখিত অভিযোগ, সাধারন ডায়েরী ও মামলা সূত্রে জানা যায় বিবাহের পর থেকে চতুর মোশারফ হোসেন সাথীকে মানসিকভাবে চরম নির্যাতন করতে থাকে এবং যৌতুকের জন্য একের পর এক চরম শারীরিক নির্যাতন চালানোরও নজিরসহ প্রমান রয়েছে।
সঙ্গত কারণে সংক্ষুব্ধ ও নির্যাতিত তৃতীয় লঙ্গের সাথী আক্তার বাদী হয়ে মোশারফ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন স্পেশাল ট্রাইবুনালে অভিযোগ দাখিল করলে, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, সংশোধিত ২০২০ সাল আইনের ১১(গ) তৎসহ ৪০৬/৪২০ ধারায় ৭৫৩/২০২৪ নম্বর মামলা হয় এবং চলমান আছে।
সাথী এবং অনেকের বর্ণনা মতে
সীমাহীন নারী ও অর্থলোভী, স্বার্থপর, ষড়যন্ত্রকারী, চিহ্নিত নারী নির্যাতনকারী, বেহায়া, বেশরম, লম্পট চরিত্রহীন এবং অসামাজিক প্রকৃতির মোশারফ মামলায় নিশ্চিত পরাজিত হবে বুঝতে পেরে বাদিকে নানা প্রকার হুমকি ধামকি সহ ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দমন করার লক্ষ্যে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
সীমাহীন নারী ও অর্থলোভী, স্বার্থপর, ষড়যন্ত্রকারী, চিহ্নিত নারী নির্যাতনকারী, বেহায়া, বেশরম, লম্পট চরিত্রহীন এবং অসামাজিক প্রকৃতির মোশারফ মামলায় নিশ্চিত পরাজিত হবে বুঝতে পেরে বাদিকে নানা প্রকার হুমকি ধামকি সহ ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দমন করার লক্ষ্যে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
মামলাবাজ মোশারফ তার পিতা নুরুল ইসলামের নামীয় মাহাতাবপুর মৌজার একটি পুকুরের চাষকৃত বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সিংহভাগ মাছ তুলে বিক্রি করে দেয় অবশিষ্ট কিছু মাছ থাকতেই ৯ ডিসেম্বর’২৪ গভীর রাতে সকলের অজান্তে ওই পুকুরে নিজেরাই গ্যাস বড়ি তথা বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন করে।
মাছ চুরির নাটক সাজিয়ে নিজেই পরদিন সকালে থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের খবর দিয়ে পুকুরে অর্ধ-মৃত্যু ভেসে থাকা মাছের ছবি ধারণ করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ক্ষতিগ্রস্ত মোশারফ লিখিত অভিযোগ করে নাই।সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান তার প্রায় চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কেন থানায় লিখিত এজাহার করেন নি এমন প্রশ্নের জবাবে মোশারফ জানান তিনি আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ষড়যন্ত্রের নীল নকশা এবং গভীর ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে সাথী আক্তার গত ১১ ডিসেম্বর’২৪ নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সকল ষড়যন্ত্র থেকে পরিত্রাণ পেতে বীরগঞ্জ থানায় ৫৭৯ নম্বর সাধারণ ডায়েরি করেছে।
সাথী আক্তার দুঃখ ভরাক্রান্ত মনে আরও বলেন তিনি তার উপার্জনের লাখ লাখ টাকা মোশারফ কে দিয়ে বিনিময়ে নির্যাতন ছাড়া কিছুই পান নি। তার হিসেব মতে সাথী ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা মোশারফ কে দিয়েছে বলেও জানান।
একসঙ্গে দ্বৈত নামে ৩ শতাংশ জমি কিনে সেখানে নিজ খরচে একটি পাকা বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে সাথী ও তার গোত্রীয় অপরাপর বন্ধু বান্ধবী। সেখান থেকেও উচ্ছেদ করার হুমকি ও পায়তারা অব্যাহত রয়েছে। তাই সকলের সহযোগিতা চায় তৃতীয় লিঙ্গের ব্যাক্তি সাথী আক্তার।
অভিযুক্ত মোশারফের মুখিমুখি হলে তিনি জানান এক বিন্দু রক্ত থাকতে সাথীকে ছাড় দিবে না, তাকে নিঃস্ব করে ছাড়বে, তার হাত অনেক বড়, ঢাকায় সাথীর গুরুমাকে অভিযোগ দিয়েছে, তাই কোর্ট-কাচারী তার কিছুই করতে পারবে না, তিনিও সাথীর বিরুদ্ধে পুরুষ নির্যাতনের মামলা করেছেন বলে জানান তবে কোন কাগজপত্র প্রদর্শন করতে রাজি নন।
সচেতন এবং সামাজিক ব্যাক্তিবর্গ মন্তব্য করে বলেন মোশারফ আসলেই একটা লোভী ও ধান্দাবাজ, বিত্তশালী হতে পারে কিন্তু মান-সম্মান কি সম্পদ, তা তার জানা নাই, আস্তো একটা অসভ্য, তারা তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুর বলেন সাথী নিজের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছে বিষয়টি অবগত আছি এবং তদন্ত চলছে।