
মো:ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)নিজস্ব প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৩৪টি হাটবাজারের বিপরীতে দরপত্রে অংশগ্রহনকারীদের নিকট ৪৮টি শিডিউল টেন্ডার বাক্স খুলে পাওয়া যায়।
৩০ জানুয়ারী’২০২৫ বিকেলে ইজারা কমিটির সদস্যগনসহ দরদাতাদের উপস্থিতিতে দরপত্রগুলি বাছাই করে রেখে দিয়ে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি’২০২৫ রবিবার ফলাফল ঘোষণা করা হবে মর্মে উপস্থিত সকলকে জানানো হয়।
কে কোন হাট ইজারা পেয়েছে তা প্রকাশ না করে গোপন রেখেই টেন্ডার প্রক্রিয়া মুলতবি ঘোষনা করা হয়।
কিন্তু আনোয়ার হোসেন নামের জনৈক দরদাতার প্রতিবাদের কারণে পুনরায় বিএনপি নেতা এবং ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস এবং শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহীনের উপস্থিতিতে সকলকে বের করে দিয়ে মনগড়া তালিকা তৈরি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ন্যাকো তথা সমঝোতার ভিত্তিতে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা মূল্যের গোলাপগঞ্জ হাট, প্রায় সরকার নির্ধারিত মূল্যেই জনৈক সেলিম মাস্টারকে বাংলা ১৪৩২ সালের জন্য ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
ব্যপক অনিয়ম, দূর্নীনির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রায় ২৫/৩০ জন দরদাতা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস রুম ত্যাগ করে চলে যান।
প্রায় প্রতিটি সিডিউল ৩০ হাজার টাকা হিসেবে গোলাপগঞ্জ হাটের বিপরীতে ৩৮ টি সিডিউল বিক্রি রেকর্ড রয়েছে কিন্তু ইজারাদাতা ইউএনও সাহেবের পক্ষে ২ ইউপি চেয়ারম্যান ন্যাকো তথা সমঝোতা করায় সরকারের ৭৬ লাখ টাকার রাজস্ব চুরি করে লুটপাট ভাগবাটোয়া করা হয়েছে মর্মে অংশ গ্রহনকারী ও প্রক্রিয়ায় লিপ্ত সেলিম মাষ্টার সুত্রে জানা গেছে।
২ কোটি ১০ লাখ টাকা ন্যাকো বা সমঝোতার কথা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা মোঃ আনিসুর রহমান আনিস জানান ৩৬ টি সিডিউল ক্রেতা কেউ টেন্ডারে অংশ গ্রহন না করে আর্থিক লাভে ন্যাকো করেছে, তারা সিডিউল গুলো আমার কাছে জমা দিয়ে চলে গেছে।
সম্ভবত ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় গোলাপগঞ্জহাট সেলিম মাষ্টারকে ইজারা দেয়া হতে পারে, প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।
এ ব্যপারে হাট-বাজার ইজারাদাতা কমিটি সভাপতি এবং ইউএনও বীরগঞ্জ ফজলে এলাহী’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন কোন অনিয়ম দূর্নীতি হয়নি।