
নাজমুল হক,কালিয়াকৈর(গাজীপুর)নিজস্ব প্রতিনিধি
দুই মাসের বকেয়া বেতন,ঈদ বোনাস,ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাড়ইপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে চন্দ্রা টু নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছে ডং বাং ডাইং লিমিটেড ও মাহমুদ ফেব্রিক্স কারখানার শ্রমিকরা। এসময় সড়কের উভয় পাশেই প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে র্দীঘ যানজটের সৃষ্টি হলে ভোগান্তীতে পরে সাধারন পথচারী ও দুরপাল্লার যাত্রীরা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হয় ।
কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ সূত্র জানা যায় ওই দুই কারখানায় প্রায় ১৫ শতাধিক শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন যাদের জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী দুই মাসের বকেয়া বেতন ,ঈদ বোনাস ও বাৎসরিক ছুটির টাকা পাওনা রয়েছে। যা বুধবার পরিশোধ করার কথা ছিলো কারখানা কর্তৃপক্ষের ।এদিকে বুধবারে পাওনা টাকা না পেয়ে সকাল ১০ টা থেকে কর্ম বিরতি রেখে কারখানার ভিতর বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা। বুধবারে বকেয়া বেতন না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কারখানার ভিতর বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করতে থাকে শ্রমিকরা। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোন সারা না পেয়ে বেলা তিনটার দিকে উপজেলার বাড়ইপাড়া এলাকায় চন্দ্রা টু নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা । এসময় সড়কের ঊভয় পাশেই প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে ভোগান্তীতে পরেন যাত্রী ও পথচারীরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সমাধান করা হবে এই প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে দের ঘন্টা পর বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয় ।
কারখানার শ্রমিক সুমন মিয়া ,হারুন অর রশিদ ও হযরত আলী জানান গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন,ঈদ বোনাস বাৎসরিক ছুটির টাকা কিছুই পাইনি। তাহলে আমরা কেমনে ঈদ করবো। এখনো ছেলে মেয়েদের ঈদের পোষাক কিনে দিতে পারিনি ,ঘরে খাবার নেই বাড়িওয়ালা রুম ভাড়ার জন্য বার বার তাগিদে দিচ্ছে। দোকানদার বাকি দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বেতন না পেলে আমরা চলবো কিভাবে। তাই আমাদের দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হোক। তা নাহলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো।
এ বিষয়ে কারখানার এইচ আর এডমিন মাসুদ রানাকে একাদিক বার ফোন করে ও ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও সারা পাওয়া যায়নি ।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ ২ কালিয়াকৈর জোনের ওসি কিরন কুমার রায় বলেন শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের মিটিং চলছে । দ্রুতই শ্রমিকদের সকল পাওনার বিষয়ে সমাধান হবে ।