
রুমন হোসেন জিলহজ্ব,লালমনিরহাট জেল বিশেষ প্রতিনিধি,
দীর্ঘ এক যুগ অপেক্ষার পর, বহুল প্রতীক্ষিত, লালমনিরহাট বাসীর স্বপ্ন বুড়িমারী থেকে সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন, ১২ মার্চ উদ্বোধন হয়েছে। যদিও ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে উদ্বোধন করা হয়েছে,আপাতত সরাসরি বুড়িমারী থেকে ঢাকা সরাসরি ট্রেন পাচ্ছে না বুড়িমারী রুটের যাত্রীরা।
অর্থাৎ লালমনিরহাট জেলার বাকি চার উপজেলাকে সরাসরি ঢাকাগামী ট্রেনের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে এই ট্রেনটি চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো ২০১১ সালে।
কিন্তু দীর্ঘ এক যুগ পর যখন এই ট্রেন চালু হলেও এই অঞ্চলের জনগণ সরাসরি ট্রেনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তার বিপরীতে না হয়ে বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত সংযোগ প্রদানকারী(শাটল) দেওয়া হয়েছে।
তবে এটা স্বতন্ত্র কোনো শাটল নয়।বুড়িমারী রুটে চলাচলকারী ৪৫৫ লোকাল ও ৭২ কমিউটার ট্রেন গুলোকে শাটল হিসেবে চালাবে।ট্রেনগুলোর সাথে আলাদা কোচ যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যে কোচগুলো বুড়িমারী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ব্যবহার করতে পারবে।
জোড়াতালি শাটল ধরায় দিলেও এই রুটের কোনো স্টেশন থেকে এখনো সিট বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই যার কারণে টিকিট কাটারও সুযোগ থাকছে না আপাতত।
ঢাকা গামী যাত্রীরা আপাতত লালমনিরহাট থেকে এবং ঢাকা থেকে ফেরত যাত্রীরা আপাতত লালমনিরহাট পর্যন্ত টিকিট করে ভ্রমণ করতে হবে।
দীর্ঘ একযুগের অপেক্ষায় থাকার পর যখন ট্রেন চালু হলো কিন্তু মূল সুবিধাভোগী অত্র অঞ্চলের লাখ মানুষকে উপেক্ষিত রাখা হলো যা খুবই দুঃখজনক! এক প্রকার তামাশা করা হয়েছে।
রেল কতৃপক্ষের কাছে এমনটা আশা করেনি সাধারন মানুষ। তবে সান্তনার বাণী শুনিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে সরাসরি বুড়িমারী থেকে ঢাকা ট্রেন চালু হবে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছে রেল কতৃপক্ষ।