মোঃ জাকির হোসেন, বেনাপোল (শার্শা)প্রতিনিধি:
ব্যাটালিয়ন-৬ সিপিসি-৩, বকচর, যশোর কোম্পানী কমান্ডার মেজর,মোহাম্মাদ সাকিব ই পরোয়ানা মূলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য ঝালুকাঠি সদর থানাকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আঃ করিম (৫৬) এর বাড়ি যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানা এলাকায় হওয়ায়, তার বিরুদ্ধে অত্র গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য পরবর্তীতে ঝিকরগাছা থানাকে আদালত নির্দেশনা প্রদান করেন”।
“র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্প উক্ত পরোয়ানা সম্পর্কে অবহিত হয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ইং ০৪/০৪/২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ১৯.৫০ ঘটিকায় র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আঃ করিম (৬১) যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দৌলতপুর এলাকায় আত্মগোপনে আছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি ইং ০৪/০৪/২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ২১.৩০ ঘটিকায় উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ আঃ করিম (৫৬), পিতা-মৃত আঃ রহিম, সাং- শংকরপুর, থানা- ঝিকরগাছা, জেলা- যশোরকে গ্রেফতার করে”।
“গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে গত ইং ২২ জুন ২০১০ তারিখে বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল সহ ঝালুকাঠি জেলার ঝালুকাঠি সদর থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ঝালুকাঠি জেলার ঝালুকাঠি সদর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী প্রায় সাত মাস জেল হাজতে থাকার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা না দিয়ে নিজেকে আত্মগোপন করে”।
“গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আরো জানায়, সে আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য নিজ এলাকা ঝিকরগাছা হতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন দৌলতপুর এলাকায় নিজেকে আত্মগোপন রেখেছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ০১ টি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১ টি সহ মোট ০২ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস রিলিজ এ জানানো হয়েছে।