
এস এম শ্যামল, পঞ্চগড় জেলা বিশেষ প্রতিনিধি।
পঞ্চগড়ে সুপারি গাছের ঝরে পড়া পাতার খোল দিয়ে ওয়ান টাইম প্লেট বাটি চামুচ সহ জিনিসপত্র তৈরি করে সারা ফেলেছেন উদ্যোক্তা নুরুল আলম সেলিম। স্বাস্থ্যকর হওয়ায় বাজারে অন্যান্য প্লেটের তুলনায় এগুলোর চাহিদা ও বেশি।
তবে এই খোল দিয়ে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় শিমুলতলিতে নান্দনিক জিনিসপত্র তৈরি করা হচ্ছে।
সরজমিনে এগিয়ে জানা যায়। প্রথমে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দুই টাকা পিস করে সুপারি গাছের খোল সংগ্রহ করা হয়। খোল গুলোকে নিম পাতা ও লেবুর রস যুক্ত পানি দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। এরপর পাতার খোল ধাঁচের মেশিনে বসিয়ে তাপ এবং চাপ প্রয়োগ করে নানা আকৃতি দেওয়া হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোলাকার বাটি,গোলাকার প্লেট, চৌকোনা প্লেট, লাভ প্লেট, ট্রেসহ ৮ ধরনের জিনিস প্রস্তুত করা হয়। বর্তমান বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে,ও প্লাস্টিকের পরিবর্তে সুপারি গাছের খোল দিয়ে তৈরি জিনিসের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এর প্রস্তুতকারক।
সুপারি গাছের খোল দিয়ে তৈরি প্রতিটি প্লেট ও বাটি বিক্রি হচ্ছে সাত থেকে পনেরো টাকায়।