বাড়িবাংলাদেশেখুলনা বিভাগভারতীয় ভিসা সীমিত: বেনাপোল বন্দরে পর্যটক কমে অর্ধেকের নিচে।

ভারতীয় ভিসা সীমিত: বেনাপোল বন্দরে পর্যটক কমে অর্ধেকের নিচে।

সিয়াম খান,শার্শা (যশোর) শিক্ষানবিশ প্রতিনিধি:

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতীয় হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান সীমিত করেছে। এর প্রভাব পড়েছে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতের চিত্রে। অন্য সময়ের তুলনায় ভারত ভ্রমণে অর্ধেকের নিচে নেমেছে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত।

জরুরি বিবেচনায় চিকিৎসা ও উচ্চশিক্ষায় কিছু ভিসা দিচ্ছে ভারত। তবে সব ধরনের ভিসা সীমিত করায় চিকিৎসা, ব্যবসা, উচ্চশিক্ষাসহ নানা প্রয়োজনে অনেকে ভারতে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন।

অপরদিকে, বেনাপোল বন্দরে ভিসা ফি ও ভ্রমণ করের অর্থ বছর বছর বাড়ানো হলেও সেবার মান বাড়েনি। খোলা আকাশের নিচে কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টিতে ভিজে ইমিগ্রেশন পার হতে হয় পাসপোর্টধারীদের।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরোদমে সব ধরনের ভিসা কার্যক্রম চালু এবং বন্দরের সেবা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় চিকিৎসা, ব্যবসা, ভ্রমণ ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ভারতে যেতে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্টধারী বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করেন। স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যেতেন। বর্তমানে এই সংখ্যা ৩ হাজারের নিচে নেমে এসেছে।

গত জুলাই ও আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হলে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয় ভারত। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলে দেশের পরিবেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। এরপর সীমিত আকারে ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু করে ভারতীয় হাইকমিশন। এতে বেনাপোল বন্দরে পাসপোর্টধারী যাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে। জরুরি প্রয়োজনে ভারতে যেতে না পেরে বিভিন্নভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে ভারত ভ্রমণে একজন পাসপোর্টধারীকে ভ্রমণ কর বাবদ ১ হাজার ৫৫ টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় হাইকমিশনকে ৮৪০ টাকা দিতে হয়। তবে সীমান্তে যাত্রীসেবা না বাড়ানোয় ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সড়কের ওপর লাইনে দাঁড়াতে হয় যাত্রীদের। বন্দরে একটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থাকলেও সেখানে বন্দর কর্মকর্তারা অফিসের কার্যক্রম চালানোয় যাত্রীরা সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।

নিরাপদ ভ্রমণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি পাসপোর্টধারীদের। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘ভারত অনেক ভিসা বন্ধ রাখায় বাণিজ্যিক ক্ষতি বাড়ছে। দেশের পরিবেশ যেহেতু এখন স্বাভাবিক, তাই ভিসা প্রদান ফের শুরু করতে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ তানজিলুর রহমান জানান, ভারত ভিসা সীমিত করার কারণে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত কমেছে। তবে বন্দরে যাত্রীসেবা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।

 

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments