ভারতের আসাম রাজ্যে বাঙালিদের হয়রানি চলছেই। এই অভিযোগে দিল্লিতে এবং গুয়াহাটিতে পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। দুটি মামলাতেই আদালত ভারত ও আসাম সরকারকে নোটিশ জারি করে হলফনামা জমা দিতে বলেছেন।
আসামের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির (সিআরপিসিসি) অভিযোগ, অসমিয়া আধিপত্যবাদীদের খুশি করতে গিয়ে বাঙালিদের হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি হিন্দুত্ববাদী বিজেপির শাসনে হিন্দু বাঙালিরাও নির্যাতিত হচ্ছেন।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জীতে (এনআরসি) নাম থাকলেও আসামে প্রায় ২৭ লাখ বাঙালির আধার কার্ড আটকে দেওয়া হয়েছে। আধার কার্ড না থাকায় ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ে ভর্তি, সবকিছুতেই সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। তাই গত সোমবার দিল্লি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন জাতীয় সংসদের তৃণমূল সদস্য সুস্মিতা দেব। তাঁর আইনজীবী বিশ্বজিত দেব জানিয়েছেন, জনস্বার্থে মামলাটি গ্রহণ করে সর্বোচ্চ আদালত নোটিশ জারি করেছেন।
আসামে বাঙালিদের হয়রানির অভিযোগ তুলে গতকাল মঙ্গলবার গুয়াহাটি হাইকোর্টে আরেকটি মামলা করেছে সারা আসাম সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্থা। তাঁদের অভিযোগ, এনআরসি তালিকাভুক্তরাও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই তালিকাভুক্তদের জন্য সচিত্র পরিচয়পত্র চালু হোক।
সিআরপিসিসি’র চেয়ারম্যান তপোধীর ভট্টাচার্যের মতে, হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান নীতি কার্যকর করতে গিয়ে আসামকে বাঙালি শূন্য করতে চাইছে শাসক দল।
আমরা বাঙালির আসাম শাখার নেতা সাধন পুরকায়স্থের মতে, রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে একযোগে রুখে দাঁড়াতে হবে বাঙালিদের। তিনি বলেন, বিভাজনের রাজনীতির মাধ্যমে বাঙালিকে হিন্দু ও মুসলমানে ভাগ করার ষড়যন্ত্র চলছে।