বাড়িবাংলাদেশেখুলনা বিভাগভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে বাংলাদেশী নারীকে স্বর্ণেরবার সহ আটক।

ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে বাংলাদেশী নারীকে স্বর্ণেরবার সহ আটক।

মোঃ জাকির হোসেন, বেনাপোল-শার্শা প্রতিনিধি:

ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে ৪৬৬ গ্রাম ওজনের ৪টি  স্বর্ণের বারসহ নাজনীন নাহার নামে এক বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী কে আটক করেন।  এ সময় গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয়।তাকে তল্লাশি  করে ৪টি, স্বর্ণেরবার  উদ্ধার করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যরা। তিনি বেনাপোল চেকপোষ্ট হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে  পেট্রাপোল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে বিএসএফ।

মঙ্গলবার (১৩-ফেব্রুয়ারী-২০২৪ ইং) সন্ধ্যায় ভারতের  পেট্রাপোল কাস্টমসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যরা তাকে স্বর্ণবারসহ আটক করে।

আটক স্বর্ণপাচারকারী নাজরীন নাহার ঢাকার ভূঁইয়া পাড়া খিলগাও এলাকার মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের স্ত্রী।

ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন  সূত্রে জানা গেছে, নাজনীন নাহার  বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস পার হয়ে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে পৌঁছালে, তার গতিবিধিতে  সীমান্তরক্ষীদের সন্দেহ হয়। এসময়  তার শরীর তল্লাশির এক পর্যায়ে পেটের ভিতর পায়ু পথে  লুকিয়ে রাখা ৪ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।

জানা যায,  বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা  ঝুকি বাড়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৪ টি স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। এর একটি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন হয় বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে।  অত্যাধুনিক মেশিন ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষনার পণ্য  শনাক্ত করতে সক্ষম। এছাড়া বেনাপোল চেকপোষ্ট  ও রেল ষ্টেশন আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন- কাস্টমস রুটে চোরাচালান রোধে আরো ৩টি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়। স্ক্যানিং মেশিনটি কাস্টমসের পক্ষে পরিচালনা করে আসছে  ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার এসোসিয়েট।  তবে স্ক্যানিং মেশিন গুলোর মধ্যে ৩ টি যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ায়  গেল ৪ মাস ধরে স্কানিং কার্যক্রম সম্পূর্ন বন্ধ রয়েছে এপথে। এতো অবাধে আমদানি পণ্য ও পাসপোর্ট যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চোরাচালান পণ্য ব্যাপক হারে বেড়েছে। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা  রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচলকারি পরিবহনগুলো অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে চোরাচালানের সাথে।

কাস্টমসের পক্ষে  স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার এসোসিয়েট এর বেনাপোল অফিস ব্যবস্থাপক বনি আমিন জানান, স্ক্যানিং মেরামত করতে বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন। সেটি  চুক্তি অনুযায়ী কাস্টমস ব্যয় বহন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় স্ক্যানিং ৩টির কার্যক্রম বর্তমান বন্ধ আছে

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments